তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং এর পেছনে অনেকগুলো ঘটনা রয়েছে। ঘটনার পুনঃনির্মাণ করতে গেলে কিছু বিষয় পরিস্কার হয়ে ওঠে— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সমন্বয়ক সাবেক, শিবির, ছাত্রদল ছাত্রলীগ পদধারি নেতাকর্মীরা, সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের দ্বারা তোফাজ্জল স্বীকার হয়েছেন। ট্রু গ্যাজেটের অনুসন্ধানকালে ১১ জনের নাম পরিচয় উদঘঠিত হয়েছে। আমরা অনুসন্ধানে পেয়েছি এই হত্যার দায় হল প্রভোস্ট ও এড়াতে পারেন না।
তোফাজ্জলের পরিচয়:
তোফাজ্জল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে এবং কাঁঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। প্রায় ১০ বছর আগে তার বাবা মারা যান। এর দুই বছর পর মা এবং সাত বছর পর একমাত্র বড় ভাই মারা যান। এরপর থেকেই পরিবার ও অভিভাবকহীন তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেন ।
তোফাজ্জলকে যেভাবে হত্যা করা হয়:
গণপিটুনি এবং মব জাস্টিসের চূড়ান্ত প্রয়োগের মাধ্যমে নির্মম পাশবিক আকারে ফজলুল হক মুসলিম হলের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত ছাত্ররা তোফাজ্জল কে হত্যা করে। ১৮ সেপ্টেম্বর২০২৪ তারিখে রাত ৭টা ৪৫ এর দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় হঠাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তারা তোফাজ্জলকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন। প্রথম ধাপে অমানবিক নির্যাতন শেষে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ানো হয়। খাওয়া শেষে আবার তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

হত্যার সাথে যারা সম্পৃক্ত ছিলেনঃ
অনুসন্ধান ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ, ফার্মেসি বিভাগের মোহাম্মদ ইয়ামুজ জামান এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনিস্টিউটের মোত্তাকিন সাকিন। নির্যাতন করা শিক্ষার্থীদের সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী। সুত্রঃ জাগো নিউজ
আরেকটি সূত্র জানায়, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সুলতান প্রথমে চোর সন্দেহে তাকে ধরে গেস্টরুমে নিয়ে আসে। সূত্রটির তথ্যমতে, মারধরে জড়িত ছিলেন— মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের, রাশেদ কামাল অনিক, গণিত বিভাগের রাব্বি এবং সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল।
এছাড়া সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত মারধরের ঘটনায় পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীরা জড়িয়েছে। এদের মধ্যে কারও ভূমিকা ছিল আক্রমণাত্বক আবার কারও ছিল রক্ষণশীল। অতি উৎসাহ থেকে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়।
হলের প্রত্যক্ষদর্শী একজন শিক্ষার্থী দেশ রূপান্তরকে ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমি হল গ্রুপে ৮টার সময় দেখি হলে চোর ধরা পড়েছে। হলের গেস্ট রুমে, গিয়ে দেখি চোর বসা। রুমে তখন ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারের অনেক ছেলে ছিল। গেস্টরুমে তাঁকে বেশি মারা হয়নি। ওখানে হালকা মারার পরে ক্যান্টিনে নিয়ে আসে খাওয়ানোর জন্য। তারপর শুনি তাঁকে এক্সটেনশন বিল্ডিং এর গেস্ট রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি তখন ওখানে গিয়ে দেখি ২০-২১, ২১-২২ ও ২২-২৩ সেশনের ব্যাচ। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন। ফার্স্ট ইয়ার যে ব্যাচটা ছিল, ওরা মারে নাই। ২০-২১ আর ২১-২২ সেশনের ওরা খুব বেশি মেরেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘দুই-তিনজন মিলেই ওরে ওখানে মেরে ফেলছে। এরা হলেন— মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০-২১ সেশনের মোহাম্মদ সুমন, ওয়াজিবুল, ফিরোজ ও জালাল। এদের মধ্যে সুমন, ফিরোজ এবং জালাল সবচেয়ে বেশি মেরেছে। গেস্ট রুমে চোরের হাত বেঁধেছে জালাল। সুমন চোখ বন্ধ করে মেরেছে তাঁকে, মারতে মারতে ও (তোফাজ্জল) পড়ে গেছে। এরপরে পানি এনে তাঁকে পানি খাওয়ানো হলে সে উঠে বসে। এসময় সবাই হাততালি দেয়।’
ওই শিক্ষার্থী বলেন, “সবাই খুশি হয় কারণ তাঁকে আবার মারতে পারবে। এরপর আবার শুরু হয় পেটানো। এই দফায়ও সবচেয়ে বেশি মেরেছে ফিরোজ। পরে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের জালাল আসে। জালাল এসে আরও মারতে উৎসাহ দেয়; বলে— ‘মার, ইচ্ছামতো মার; মাইরা ফেলিস না একবারে’। এসময় গ্যাস লাইট দিয়ে পায়ে আগুনও ধরিয়ে দেয়। পরে সুমন এসে তোফাজ্জলের ভ্রু ও চুল কেটে দেয়।”
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘পরে ওখানে স্যার (হলের আবাসিক শিক্ষক) আসেন। আমি ওদেরকে অনেক ফেরানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু ওরা মানেনি। এক্সটেনশন বিল্ডিং এর গেস্ট রুম থেকে থেকে যখন তাঁকে বের করা হয় তখন স্যার এসে পড়ছেন। মারধরে তোফাজ্জলের ডান পা এবং বাম পায়ের মাংস খুলে পড়ে গেছে তখন। অনেকে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। আমি বলি কাপড় আনো, ওর পা বেঁধে দেই। কারণ ব্লিডিং হইলে তো সেন্সলেস হয়ে যাবে। পরে কাপড় এনে একটা জুনিয়র পা বেঁধে দেয়।’
ওই শিক্ষার্থী জানান, ‘মারধরকারীরা চেষ্টা করছিল মারপিট করে তাঁর স্বীকারোক্তি নিবে যে চুরি হওয়া ফোন সেই নিয়েছে। মারধরের এক পর্যায়ে দুই-তিনটা ফোন নম্বর দেয় তোফাজ্জল। সেই নাম্বারে ফোন দিলে অপর পাশ থেকে জানানো হয় মানসিক বিকারগ্রস্ত। কিন্তু ওরা (শিক্ষার্থীরা) বিশ্বাস করতে চায়নি। সেখানে আসা শিক্ষকদের সামনেও তোফাজ্জলকে পেটানো হয়। শিক্ষকরা বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।’
তিনি আরও জানান, ‘পরে তোফাজ্জলকে হলের মেইন বিল্ডিংয়ের গেস্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে জালাল প্রচুর মারে তাঁকে। বুট জুতা পরে এসে তোফাজ্জলের আঙ্গুল মাড়িয়ে ছেঁচে ফেলেন। আমি বলি, ভাই এগুলো কি করেন? তা শুনে হেসে দেয় জালাল। অনেকবার বলেছি, তারপরও সে বারবার হাতের আঙুল মাটিতে বিছিয়ে মাড়িয়েছে। তাঁর গোপনাঙ্গে লাঠি দিয়া জোরে জোরে আঘাত করছে জালাল। অনেক সিনিয়র ভাইয়েরা এসে তাদের ফেরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরা কিছুতেই মানেনি।’ সুত্রঃ দেশ রুপান্তর
পরের ঘটনা জানিয়ে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘এরপর প্রক্টরিয়াল টিম আসে। কিছু অভিযুক্তরা টিমের কাছে তোফাজ্জলকে দিতে চাচ্ছিল না। তাঁরা বলছিল, প্রক্টরিয়াল টিমকে দিলে তাঁরা পুলিশকে দিবে, আর পুলিশ ছেড়ে দিবে। এ নিয়ে ওখানে প্রকটোরিয়াল টিমের সদস্যদের সাথে অনেক ঝগড়া হয়েছে। ২৫ মিনিট ধরে শিক্ষকরা তাদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা বলেন, মাইরো না, মাইরা তো কোনো ফল পাবে না। পুলিশে দাও, পুলিশ চেষ্টা করবে। যে আইন কানুন আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে প্রক্টরিয়াল টিম। কিন্তু স্যারদের কথা তাঁরা মানেনি। তাঁরা বলছে, আমরা দেখব। পুলিশের কাছে দিলে ওরা এই শর্তে দিবে যে, পুলিশ ওরে সার্চ করবে। যদি (ফোন) না পায় তাহলে ওকে আবার তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে প্রক্টরিয়াল টিম বুঝতে পারে তোফাজ্জলের অবস্থা খুবই খারাপ। এত মারলে কেউ বাঁচতে পারে না। তার মাংসগুলো খসে পড়ে গেছে। তাঁর গোপনাঙ্গে প্রচুর আঘাত করা হয়েছে। আঙুলগুলো পুরো ছেঁচে ফেলা হয়েছে। ওই জালাল ছেলেটা করেছে। সবার সামনেই এগুলা করছে।’
পরে অবস্থা খারাপ দেখে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পাঁচ-ছয় জনের একটি দল তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করলে সটকে পড়েন ওই শিক্ষার্থীরা। এসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক বলেন, আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে।

তোফাজ্জল হত্যায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ওই হলের প্রাধ্যক্ষ শাহ মো. মাসুমসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে আদালতে।
নিহত তোফাজ্জল হোসেনের মামাত বোন আসমা আক্তার বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদনটি করার পর বিচারক তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
আদালত শাহবাগ থানায় চলা অন্য একটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদনও তলব করেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন আইনজীবী জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, “হল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে শাহবাগ থানায় একই বিষয়ে একটি মামলা করেছে। ওই মামলাটিতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই আমরা ভিডিও দেখে ১৫ জনকে শনাক্ত করে তাদের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছি যেন নিরীহ কোনো ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হন।”
আবেদনে প্রাধ্যক্ষ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, মোত্তাকিন সাকিন শাহ, আল হোসাইন সাজ্জাদ, ওয়াজিবুল আলম, আহসান উল্লাহ, ফজলে রাব্বি, ইয়ামুস জামান, রাশেদ কামাল অনিক, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান ও মো. সুলতানের নাম আছে।
এই ঘটনায় তুমুল সমালোচনা হলে পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শাহবাগ থানায় আবার মামলা হলে সেদিনই গ্রেপ্তার করা হয় ছয়জনকে। এরা হলেন হলেন- ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও হল ছাত্রলীগের সাবেক (সদ্য পদত্যাগকারী) উপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক জালাল মিয়া, হল ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়নবিষয়ক উপ-সম্পাদক আহসান উল্লাহ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আল হোসাইন সাজ্জাদ, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মুত্তাকীন সাকিন শাহ, সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াজিবুল আলম। সুত্রঃ বিডিনিউজ ২৪।
তাদেরকে পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে বহিষ্কার এবং ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ মো. মাসুমকে সরিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ছাত্র ট্রু গেজেট বলেন, গ্রেফতার হওয়া ছয়জন শিক্ষার্থী ছাড়া আরও যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না৷ প্রশাসনও এ বিষয়ে নীরব ভুমিকা পালন করছে। হত্যায় জড়িত অধিকাংশরা এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ায়। আর তাদেরকে আশ্রয় দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।
বিস্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভুমিকা, ইউনূস সরকারের নীরবতা বুঝিয়ে দিচ্ছে বিচারের নামে অন্যকিছু হচ্ছে,যেমনটা মব জাস্টিসের নামে আড়াল করা হচ্ছে ঢাবি ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া তোফাজ্জলের নির্মম হত্যাকান্ড এক্সট্রা জুড়িসিয়াল কিলিংসকে। ৪০-৫০ জন হত্যাকারীদের মধ্য থেকে ছয় গ্রেফতার,বাকীদের বেলায় চুপ বিশ্ব বিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শুরু করে পুলিশ! প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে বাকি খুনীদের রক্ষা করার চেষ্টায় আছে কিনা, তা সময়ই বলবে। বাকী খুনীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার আশা কি দুরাশা?