ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের আধিপত্য এখন এক আতঙ্কের নাম। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়নসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস এবং হলগুলোতে শিবিরকর্মীদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সমন্বয়কের পরিচয়ে শিবিরের নেতাকর্মীরা বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল কার্যত নিয়ন্ত্রণ করছে। হলগুলোর প্রাধ্যক্ষ এবং কর্মচারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে তারা একপ্রকার একচ্ছত্র শাসন কায়েম করেছে।
বিভিন্ন আবাসিক হলের ভেতরে অবস্থানরত একাধিক শিক্ষার্থী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকার শর্তে, জানিয়েছেন—
শিবির প্রত্যেক হলে অন্তত দুটি মেসেঞ্জার গ্রুপ এবং কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ পরিচালনা করে। একটি গ্রুপে পরীক্ষিত শিবিরকর্মীরা যুক্ত থাকে, যেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, হল পরিচালনা এবং সন্দেহভাজন শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্য গ্রুপে শিবিরমনা শিক্ষার্থীদের রাখা হয়, যেটি শিবিরের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করেন।
শিবির হলে বিভিন্ন ক্লাব—যেমন ডিবেটিং ক্লাব, বাঁধন ইত্যাদির আড়ালে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালায়। প্রতিটি শিক্ষার্থীর গতিবিধির উপর নজরদারি করা হয়। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, এমনকি তার মোবাইলের মেসেঞ্জার পর্যন্ত তল্লাশি করা হয়।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত শিবির ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বিভিন্ন হল থেকে ২০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দিয়েছে। এমনকি ছাত্রদলের সঙ্গেও সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রদল কর্মী জানান,
“ সম্প্রতি হলের অতিথি কক্ষে এফ রহমান হলের এক ছাত্রদল কর্মীকে মারধর করার চেষ্টা করেছিল সূর্যসেন হলের শিবিরকর্মীরা।”
ট্রু গেজেট অনুসন্ধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে শিবিরের শতাধিক সদস্যের খোঁজ পেয়েছে। রিপোর্টে শিবিরের ক্যাডারদের ফেসবুক একাউন্ট হাইপারলিংক করা হয়েছে, নামে ক্লিক করলে তাদের ফেসবুক একাউন্টে প্রবেশ করা যাবে। হল ভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা হলো।
মাস্টারদা সূর্যসেন হল
ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম সূর্যসেন হলের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক, ২০১৬-১৭ সেশনে পলিটিকাল সায়েন্সে ভর্তি হয় খাগড়াছড়ি থেকে আগত সাদিক কায়েম। সাদিক কায়েমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিবির ক্যাডার শিবিরের সাথী ফিন্যান্স ১৬-১৭ সেশনের আজিজুর রহমান রিজভী হলের বিভিন্ন বিষয়ে এখনো খবরদারি করে থাকে বলে জানিয়েছেন হলে অবস্থানরত একাধিক শিক্ষার্থী। হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন
সাদিক,রিজভী হলে ছাত্রলীগ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেয়েছেন,আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এখনো ছাত্রলীগ হিসেবেই থাকতেন, এদিকে আমরা এখনো বেকার।
সম্প্রতি সাদিক এবং রিজভির ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিলের ছবি ,ভিডিও ভাইরাল হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ জুলাইয়ের ঘটনা নিয়ে ৩৯৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিজভী, সাদিক এবং হাসনাতের নির্দেশনায় – বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রলীগ নেতাকে ধরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেন রিজভী। এছাড়া গত বছরের ১৫ আগস্ট সূর্যসেন হলে সাউন্ড বক্স কেনার জন্য আর্থিক সহয়তা দেয় শিবির নেতা সাদিক কায়েম এবং রিজভী বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছেন।
সূর্যসেন হলে শিবিরের নেতৃত্বে মুলত শিবিরের সাথী আজিজুল হক ,যুগ্ম সদস্য সচিব, বাগছাস।আজিজ হলের মূল নিয়ন্ত্রক বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থথ।হলের প্রাধ্যাক্ষের সাথে মিলেমিশে হল নিয়িন্ত্রণ করে, শিবির নেতা সাদিক কাইয়ুমের বেশ ঘনিষ্ঠ। একাধিক সূত্রের ভাষ্যমতে ডাকসু হলে হল সংসদ থেকে ভিপি প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনা বেশি। হল শাখা শিবিরের বর্তমান সভাপতি ১৮-১৯ সেশনের সারোয়ার আলম খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক ১৯-২০ সেশনের তাহমিদ আলম। এছাড়া শিবিরের আরো কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ক্যাডারের পরিচয় পেয়েছে ট্রু গেজেট তারা হলেন নোয়াখালীর ১৯-২০ সেশনের তাহমীদুর রহমান, এমডি মেশকাত, চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন সাকিব , কুমিল্লার ১৯-২০ সেশনের মাহবুবুর রহমান । ১৯-২০ সেশনের চট্টগ্রামের ইংরেজি বিভাগের সাংবাদিক ডেইলি ক্যাম্পাসের তাওসিফ ইসলাম ও শিবিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখপাত্র। ১৯-২০ সেশনের চাঁদপুরের ইংরেজি বিভাগের হাবিবুল হাসান নাইম, সূর্যসেন হলে ছাত্রলীগ নেতাদের রুম ভাংচুরে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়,১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে ছাত্রলীগ নেতা সবুজ হত্যায় জড়িত বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ওয়ালিউল্লাহকে ১৭ জুলাই সকালে তিন তলা থেকে ফেলে দেয় এবং হল গেটে মিনহাজের বাইক পুড়িয়ে দেয়।
মনোয়ার হোসেন সোহাগ, বাড়ি চাঁদপুর, হল-সূর্যসেন এক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে
“১৫ জুলাই শিবিরের গোপন এসাইনমেন্ট হিসেবে ছাত্রলীগের মধ্যে থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে।এতে ছাত্রলীগের বদনাম হয়।পরবর্তীতে সে কোটা অ্যান্দোলনে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহন করে।ঢাকা কলেজের সামনে যে দুইজন ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয় সেখানে সে সরাসরি জড়িত ছিল।গণভবনে সে সবার আগে প্রবেশ করে ভাংচুর এবং লুটপাট চালায়। তার ফেসবুক লাইভে যা সে সরাসরি সম্প্রচার করে।তার বিরুদ্ধে উদ্যানে ছিনতাইয়ের অভিযোগও বহু পুরনো।”
চট্টগ্রামের শিবিরের ১৮-১৯ সেশনের নুরুল ইসলাম ঢাবি শিবিরের গত কমিটির সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক, ঢাবি শিবির . বর্তমান সভাপতি , বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম। নুর বর্তমানে কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের মূল কমিটির নেতা।
উর্দু বিভাগের ২১-২২ সেশনের কিশোরগঞ্জের হিমেল হাসান, চট্টগ্রামের ১৮-১৯ সেশনের মোস্তফা আহমেদ সূর্যসেন হলে শিবিরের রাজনীতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক। শিবিরের আরেক ক্যাডার ২০-২১ সেশনের,পাবনার তুষার ইমরান কে শিবিরের ইনকিলাব মঞ্চের মুসাদ্দেক ও জুবায়েরের সাথে বিভিন্ন মিছিলে প্রায়ই দেখা যায়। এছাড়া শিবিরের উল্লেখ যোগ্য কয়েকজনের নাম বেরিয়ে এসেছে আমাদের অনুসন্ধানে তারা হলেন ফেনীর মোঃ ইমরান হোসেন, কক্সবাজারের চকোরিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন ,সাইফুল্লাহ মনসুর, কিশোরগঞ্জের ২২-২৩ সেশনের আরমানুল ।
বিজয় একাত্তর হল
বিজয় একাত্তর হলের নিয়ন্ত্রণে মূলত সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সাবেক শিবিরের সাথী হাসনাত হলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে, তবে হলের আরেকটি অংশ উপদেষ্টা আসিফের নির্দেশনা অনুযায়ী চলে। বিজয় একাত্তর হলে এই দুটি গ্রুপের মধ্যে রেষারেষি রয়েছে। রেষারেষি থাকা সত্বেও একাত্তর হলের রাজনীতিতে একচ্ছত্র নিয়িন্ত্রক ছাত্রশিবির।
একাত্তর হল ছাত্রশিবিরের হয়ে যারা হল নিয়ন্ত্রণ করছেন তারা হলো নোয়াখালীর ১৯-২০ সেশনের নুরুল ইসলাম সাব্বির শিবিরের সাথী এবং সক্রিয় নেতা, পিরোজপুর আরবি বিভাগের ১৯-২০ সেশনের নিয়াজ মাহমুদ শিবিরের সাথী, নিয়াজ ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক আব্বাসের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত, চট্টগ্রামের ১৯-২০ সেশনের আরবির শিবিরের সাথী এমরান হোসেন ,মনোবিজ্ঞানের ২০-২১ সেশনের শিবিরের সাথী নোয়াখালীর মুহাম্মদ শাহরিয়াদ , ১৯-২০ সেশনের জিয়াউল হক জিয়াদ শিবিরের অন্যতম গুপ্তচর।১৮-১৯ সেশনের হামিদুর রশিদ জামিল ঢাবি শিবির কমিটির সম্পাদক, এছাড়া নোয়াখালীর আরবি বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের নাহিদুল ইসলাম হল শাখা শিবিরের দায়িত্ব পালন করেছে বিভিন্ন সময়ে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন রকি, নোয়াখালীর আরবি বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী শিবিরের অন্যতম গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতো। কুমিল্লার ভূগোলের ১৬-১৭ সেশনের শিবিরের সাবেক সাথী নাজিব উল্লাহ নাদিম একাত্তর হল শাখা শিবিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ।
নরসিংদির ১৮-১৯ সেশনের মোহাম্মদ ফাইজুল্লাহ শিবিরের ব্যাচ প্রতিনিধি, ছায়া সংসদ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পাদক, মুক্তাদির মুক্তকে পিটিয়ে শাহবাগ থেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পটুয়াখালীর ২০-২১ সেশনের শাখাওয়াত জাকারিয়া শিবির নেতা, শিবিরের প্রোগ্রামের এবং স্ট্র্যাটেজির প্ল্যানার। জানাযায় বি ইউনিটে প্রথম হয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হয়। এছাড়া ২০-২১ সেশনের আবদুল মোত্তালিব হৃদয় হলে শিবিরের ব্যাচ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে।১৭-১৮ সেশনের চুয়াডাঙ্গার শিবিরের ক্যাডার মো আবদুল কাদের(২১-২২) হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রুম ভাঙচুরে অন্যতম নেতৃত্বদানকারী। চাঁদপুরের ২১-২২ সেশনের শিবিরের ক্যাডার ইউসুফ আবদুল্লাহ ও হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রুম ভাঙচুরে অন্যতম নেতৃত্বদানকারী। বরিশালের ১৯-২০ সেশনের তাহসিন হাসান ইমরান শিবির সাথী, শিবিরের গুজব এবং ফেইক আইডি দিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।১৮-১৯ সেশনের নোয়াখালীর শিবিরের সাথী মোঃ মুজাহিদ(১৮-১৯) হলের ভাংচুর এবং লুটপাটে জড়িত ছিল। ১৮-১৯ সেশনের কিশোরগঞ্জের শিবিরের সাথী হাসিবুল আকাশ, ১৮-১৯ সেশনের মনিরুজ্জামান মাজেদ, নোয়াখালীর ১৯-২০ সেশনের ইসমাইল শিবিরের সাথী। ফেনীর ১৬-১৭ সেশনের পপুলেশন সায়েন্সের শিবিরের সাথী জিয়াউল হক জিয়া, নোয়াখালীর ২০-২১ সেশনের আবদুল্লাহ আল মাহমুদ শিবিরের সাথী।ফেনীর ২২-২৩ সেশনের আরবীর এন এইচ তানভীর, একাউন্টিংয়ের আমজাদ হোসেন ।চট্টগ্রামের ২০-২১ সেশনের মুহাম্মদ জুবাইর উদ্দিন শিবিরের সাথী, বাশখালী ,চট্টগ্রামের ২০-২১ সেশনের শিবিরের সাথি আরিফুল হক।
হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল
মহসিন হলে শিবির বেশ শক্ত ঘাঁটি গেড়েছে। নরসিংদীর ২০-২১ সেশনের দর্শন বিভাগের বায়েজিদ হাসান,শিবির নেতা মুহসিন হল শিবিরের অন্যতম প্রধান মুখ।অনুসন্ধানে জানা যায়
‘ বায়েজিদ সে ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর সরাসরি আক্রমণে জড়িত এবং রুম ভাংচুর করেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগের কর্মী জানায় “বায়েজিদ পরবর্তীতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামের তালিকা সে প্রণয়ন করে এবং সে অনুসারে মামলা এবং বহিস্কার করে অসংখ্য ছাত্রের জীবন সে নষ্ট করেছে। ৫ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি ৩২ ভাংচুরের সাথে বায়েজিদ সরাসরি জড়িত।’
মুহসিন হল মুলত নিয়ন্ত্রণ করে কক্সবাজারের শিবিরের ক্যাডার আই আর ১৮-১৯ সেশনের মোস্তফা আল হোসাইন আকিল, মুহসিন হল ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক আকিল ঢাকা বিস্ববিদ্যালয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর ডান হাত হিসেবে খ্যাত। আকিলের ফুফাতো ভাই ২২-২৩ সেশনের সাকিব আহমেদ জিয়া হল শিবিরের অন্যতম নেতা । সাকিব মুহসিন হল ছাত্রলীগের নেতা ছিল, ২০২৪ এর নির্বাচনে চট্টগ্রাম ১৫ আসনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করে। শরিয়তপুরের ২১-২২ সেশনের শিবির ক্যাডার সগির ইবনে ইসমাইল মহসিন হলের কেন্দ্রীয় সহ সমন্বয়ক। ঢাবি শিবিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ, রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এ নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ আছে, এছাড়া প্রশাসনিকভাবে মহসিন হল নিয়ন্ত্রণ করে,১৫-১৬ জুলাইয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের রুম ভাংচুরে নেতৃত্ব দেয় সগির। সাবেক শিবির নেতা ১৬-১৭ সেশনের মনোবিজ্ঞানের আবদুল্লাহ হিল বাকী মহসিন হলের শিবিরের অন্যতম নিয়ন্ত্রক, জোর গুঞ্জন আছে সে আপ নামক শিবিরের নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদান করবে।কিশোরগঞ্জের ১৯-২০ সেশনের আরবি বিভাগের আশিকুর রহমান সাকিব মুহসিন হলের অন্যতম শিবিরের ক্যাডার।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল
শহীদ জহুরুল হক হলের শিবিরের রাজনীতি নিয়ন্ত্রক হচ্ছে হল ছাত্রলীগের সাবেক প্রার্থী হামজা মাহবুব, হল ছাত্রলীগের কর্মী ২০১৭-১৮ সেশনের আলিম রাজী, ঢাকা পোষ্টের সাংবাদিক চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ২১-২২ সেশনের এইচ এম খালিদ হাসান। বর্তমান হল শাখা শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল এম হাসান । হাদি তানভীর হল শাখা বায়তুল মাল বিষয়ক সম্পাদক,হাদী তানভীর সম্প্রতি হলে খাবারের দোকান বসিয়েছে। মাহমুদ হাসান আল বান্নাহ নামক আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী হলে শিবিরের কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ করে,যে হল শাখা শিবিরের ভবিষ্যৎ সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক হবে বলে গুঞ্জন আছে। ২০২২-২৩ সময়ের আহসান হাবীব ইমরোজ হল ছাত্রলীগের সময়ে শাখা শিবিরের সভাপতি ছিলে।
হল শাখা শিবিরের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হিসেবে যাদের নাম আলোচিত শিবিরে্র সাথী খালেদ হাসান ,সংগঠক – বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৭-১৮ সেশনের আরবি বিভাগের ফখ্রুল ইসলাম সাংবাদিকতা বিভাগের সোহানুর রহমান শুভ, হল ছাত্রলীগের উপ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, কুমিল্লার কাজি আবদুল্লাহ আল মাসউদ, হল ছাত্রলীগের উপ দফতর মেহেদী হাসান। পলিটিকাল সায়েন্সের ১৭-১৮ সেশনের মাদারিপুরের মাসুদুর রহমান, হল ছাত্রলীগের উপ সম্পাদক। ১৬-১৭ সেশনের বগুড়ার শিবিরের কর্মী আব্দুর রউফ , যদিও বর্তমানে ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য। রাজশাহীর দর্শনের ১৫-১৬ সেশনের এস এস সাইফ হল শিবিরের অন্যতম সাথী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে, হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন ” সাইফ হল ছাত্রলীগে উপ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছে এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে চিঠি কমিটিতে সহ-সম্পাদক ছিলেন”।
১৮-১৯ সেশনের জহুরুল হলের কাজী আশিক শিবিরের রাজনীতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানিয়েছে “ ১৫ জুলাইয়ে রাতে ২/৩ টায় বিভিন্ন মেসেঞ্জার, গ্রুপে মেসেজ দেয় এখনই মুখ্য সময় ক্যান্ডিডেট হটানোর, পরে শিবিরের ক্যাডার আলিম রাজি এবং মহিউদ্দিন রনির সমন্বয়ে এক যোগে রুম ভাংচুর করে তারা।” এ ঘটনায় তাদের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো শিবিরের ১৮-১৯ সেশনের নরসিংদির আমিনুল ইসলাম ফূয়াদ, চট্টগ্রামের ব্যাংকিং ১৯-২০ সেশনের ফারহাজ বিন নুর নিশান, মুজাহিদুল ইসলাম, রাকিব হাসান, অনিক হাসান প্রিয়ম, হাসিবুর রহমান , সায়মন ফেরদৌস, নাজমুল হাসান, হাসান মাহমুদ সাইফুল্লাহ, মুহাম্মদ, রবিউল ইসলাম, আবু উবাইদা, হাসনাত ইরফান, আশরাফুল ইসলাম,আবির ফাহিম আসিফ, ফারাহ সালমান, শিহাব মোর্শেদ, শিহাব উদ্দিন, আবদুল্ আহাদ আল মাহমুদ, হারুন মুহাম্মদ স্বাধীন, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুহাম্মদ শাহরিয়াদ, রিফাত হোসাইন, মাহমুদুল হাসান গাজীপুর, ফেনীর ২২-২৩ সেশনের আন্তজার্তিক সম্পর্কের আব্দুর রহমান ,দর্শনের ২১-২২ সেশনের দর্শনের ঠাকুরগাঁওয়ের মোঃ জহির রায়হান রিপন সহ আরো অনেক শিবিরের কর্মীর পরিচয় সমন্ধে নিশ্চিত হয়েছে ট্রু গেজেট। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ৩০+ অধিক শিবিরের ক্যাডারের খোঁজ পেয়েছে ট্রু গেজেট তাদের অনুসন্ধানে। হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছে হলের ২১৪ নম্বর রুম থেকে শিবির পুরো হল নিয়ন্ত্রণ করে, হলের প্রাধ্যাক্ষ শিবিরের চাহিদা মোতাবেক হল চালায়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য এবং হল ছাত্রলীগের প্রার্থী ,ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনের প্রত্যক্ষ তত্বাবধায়নে , বঙ্গবন্ধু হল শিবিরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।হলের সভাপতি ফাইন্যান্স, ২০-২১ সেশনের মোঃ মুসলিমুর রহমান দায়িত্ব পালন করছে।
আরাফাত হুসেন ভুইয়া– সম্পাদক ছাত্র শিবির ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনে পারদর্শী আরাফাত বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ফটোকার্ড তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে মূখ্য ভূমিকা পালন করে। দরশন ২০-২১ সেশনের মোহাম্মদ রিফাত হোসেন, বর্তমান হল শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া শিবিরের হেলথ ইকোনমিকস ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সাইদ হাসান ঢাবি ইনকিলাব মঞ্চের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। শিবিরের বর্তমান নেতা আইইআর ১৬-১৭ সেশনের আতিক আশিক, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু হলের নামফলক মুছে ফেলে নাম পরিবর্তন করার তৎপরতাও চালিয়েছে শিবির ও ছাত্রদল। সেখানে হল শিবিরের সাবেক ক্যাডার এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আতিক আশিককেও অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হলের নামফলক ভাঙায় ও তদের সক্রিয় কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু হলে শিবিরের কার্যক্রমে যারা জড়িত ইংরেজি ১৯-২০ সেশনের মাহমুদুল হাসান রবিন, আরবি, ২০-২১ সেশনের আহমেদ আল সাবাহ, মাগুরার অর্থনীতি ২১-২২ সেশনের শের শাহ আলী খান , ইংরেজি ১৯-২০ সেশনের মোঃ মিজানুল করিম,একাউন্টটিং, ১৭-১৮ সেশনের মুহাম্মাদ শিমুল হাসান যে কিনা হল ছাত্রলীগের পদধারি ছিল। ফাইনান্স, ২০-২১ সেশনের বোরহান উদ্দিন, ইসলামিক স্টাডিজের, ১৭-১৮ সেশনের আমির ফয়সাল হল ছাত্রলীগের পদধারি , ১৮-১৯ সেশনের এ আর শিবলী সহ আরো অনেকে।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল
ফোজায়েল আহমেদ,সভাপতি,জিয়া হল শিবির,বাড়ি-সুনামগঞ্জ তার আপন ভাইও সাস্ট শিবিরের সভাপতি ছিল এবং ২০১৭ সালে জেল খেটেছে নাশকতার দায়ে। ১৫ জুলাইয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের রুম ভাঙচুর সহ হলে সহিংসতা এবং ধানমণ্ডি ৩২ ভাংচুরে সরাসরি জড়িত।ইসলামিক স্টাডিজ ২০-২১ সেশনের শায়খ শরফুদ্দীন, ১৮-১৯ সেশনের মাহবুব তালুকদার যার নেতৃত্বে হল ছাত্রলীগের নেতাদের রুম লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়। ২২-২৩ সেশনের সাকিব আহমেদ জিয়া হল,চট্টগ্রামের ইসলামিক স্টাডিজের ১৯-২০ সেশনের এস এম শাহেদ ইমন। ১৭-১৮ সেশনের ইসলামিক স্টাডিজের কাওসার, এছাড়া রাজশাহীর ২১-২২ সেশনের আসিফ মাহমুদ শিবিরের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করত ছাত্রলীগের ছদ্মবেশে। সিলেটের ২১-২২ সেশনের একাউন্টিং এর শিবির ক্যাডার মেহেরাজ মীর , রংপুরের ১৯-২০ সেশনের পলিটিকাল সায়েন্সের মেফতাহুল হোসেন আল মারুফ হল শাখা শিবিরেরর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের একাধিক শিবিরের নেতা রয়েছে , যাদের মধ্যে রয়েছেন রাকিব (২০১৮-২০১৯, অ্যাকাউন্টিং, বাগেরহাট), মাহবুব (২০১৮-২০১৯, ইসলামের ইতিহাস, ঝালকাঠি), তামিম (২০১৮-২০১৯, ইসলামিক স্টাডিজ, বরগুনা), মানিক (২০২০-২০২১, ইকোনমিক্স, রাজশাহী/সাতক্ষীরা), রায়হান (২০১৭-২০১৮, ট্যুরিজম, কুমিল্লা), আমিন (২০১৮-২০১৯, কক্সবাজার), আকবর (২০১৬-২০১৭, ইতিহাস, সাতক্ষীরা) এবং ইমরান (২০১৯-২০২০, ফিন্যান্স, টাঙ্গাইল)।
জসিম উদ্দিন হল
জসীমউদ্দিন হল প্রশাসনিক এবং রাজনোইতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ। এছাড়া ফরহাদের ঘনিষ্ঠ লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের মাসুম আব্দুল্লাহ জসিম উদ্দিন হলের শিবিরের দায়িত্বে আছে, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল থেকে হলের ভিপি জিএস প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনা আছে। চট্টগ্রাম, বাঁশখালীর এই শিবির সভাপতি ঢাবি শিবির নেতা এস এম ফরহাদের ডান হাত হিসেবে পরিচিত। জসিম উদ্দিন হলের আরেক শিবিরের নেতা আইন বিভাগ ১৮-১৯ সেশনের ক্যাডার আরফাতুল ওসমানি ,জামায়াত নেতা এটি এম আজহারের আপন ভাইয়ের ছেলে ওসমানী। আইন বিভাগে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরে ভুমিকার কথা সর্বজনবিদিত। খাগড়াছড়ি থেকে আগত ১৭-১৮ সেশনের রফিকুল ইসলাম শাখা শিবিরের মূল নীতি নিরধারকদের একজন, শিবির সভাপতি ফরহাদের বেশ ঘনিষ্ঠ । হলে ছাত্রলীগ নেতাদের র রুম ভাঙচুরের নেতৃত্বে ছিল রফিকুল ইসলাম। লক্ষ্মীপুরের ২১-২২ সেশনের সৈয়দ আবদুর রহিম। ৫ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার ধ্বংসের সাথে সরাসরি জড়িত, ছাত্রলীগ নেতাদের র রুম ভাঙচুরের জড়িত ছিল। কুমিল্লার ১৯-২০ সেশনের ইতিহাস বিভাগের শিবিরের ক্যাডার মারুফ হাসান শাহিন ছাত্রলীগ নেতাদের রুম ভাঙচুরে নেতৃত্বে ছিল। কয়েকজন ভুক্তভোগী জানিয়েছেন ‘ তাছাড়া ছাত্রলীগের আমলে ছাত্রলীগ ভান ধরে নবাগত শিক্ষার্থীদের গেস্টরুম নির্যাতনের অন্যতম হোতা,বড় লীগার হিসেবে জাহির করতো”। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ওসমান ও ছাত্রলীগ নেতাদের, রুম ভাঙচুরের জড়িত ছিল, ৫ আগস্টের পর হলের শিবিরের রাজনীতিতে অন্যতম পরিচিত মুখ। কক্সবাজারের পেকুয়ার ১৮-১৯ সেশনের মিসবাহুল কবির শিবিরের আরেক মুখ্য নীতি নির্ধারক। বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের কর্মীদের বহিষ্কার তালিকা মিসবাহর নেতৃত্বে হয়।কুস্টিয়ার মামুন হোসেন, ২০১৮-১৯ সেশনের আইন বিভাগের শিবিরের ক্যাডার (হল ভাঙচুরে ছিল। এছাড়া আই আর ১৮-১৯ সেশনের ইফাজ আবদুল্লাহ হল শিবিরের অন্যতম মূল নেতা।হলের কয়েকজন ভুক্তভোগী জানায় “ আওয়ামী লীগ আমলে ছাত্রলীগের সবচেয়ে বেশি ইমেজ নষ্টকারী এই মামুন, হলে ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে এমন কোন অপকর্ম নেই যে করেনি। এছাড়া ১৯-২০ সেশনের রংপুরের মাজহারুল ইসলাম শাখা শিবিরের অন্যতম নেতা।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল
সলিমুল্লাহ হলে শিবিরের নেতৃত্বে আছে ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী জায়েদুল হক,আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক, ঢাবি শিবির।লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট ১৮-১৯ সেশনের মাহমুদুল হাসান রায়হান এস এম হল শিবিরের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে বাগছাস নেতা, হল ছাত্রলীগের নেতাদের রুম ভাঙার নেতৃত্বে ছিল রায়হান। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুজন সম্পাদকের সাথে ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে আমাদের। আইন বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের আবদুল্লাহ আল জুবায়ের ( আরিয়ান) সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।ইতিহাসের ১৮-১৯ সেশনের ফেনীর সাজ্জাদ সাকিব পাবনার ১৮-১৯ সেশনের আশরাফুল আলম , শিবিরের নতুন কর্মী সংগ্রহে মুখ্য ভুমিকা পালন করত, যদিও তৃতীয় বর্ষে হল ছেড়ে দেয়। টাঙ্গাইলের ১৯-২০ সেশনের বাংলার রায়হান মিয়া, ফেনীর ১৭-১৮ সেশনের উর্দু বিভাগের আবদুল আল কাইয়ুম শিবিরের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিল বিভিন্ন সময়ে। ১৭-১৮ সেশনের আব্দুর রহিম ,শিবিরের অন্যতম নীতি নির্ধারক।ইসলামিক স্টাডিজের ১৯-২০ সেশনের যশোরের মামুন আকুঞ্জি ১৭ জুলাই রুম ভাঙায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো। শিবিরের হল শাখার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছে।আরবি বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিবির ক্যাডার মোহাম্মদ আবু তাহের।নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৫-১৬ নাজমুস সাদাত শিবিরের অন্যতম মূল নেতা।
অমর একুশে হল
নেত্রকোনার ফিশারিজ বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিবির নেতা মো: নূর হাসান, একুশে হলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে, একাধিক সূত্রের ভাষ্যমতে ডাকসুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কার্জনের হলগুলোতে শিবিরের নিয়ন্ত্রকদের একজন। ফলিত রসায়নের মাহফুজ রাজু একুশে হলে শিবিরের অন্যতম নিয়ন্ত্রক। একাধিক সূত্রের ভাষ্যমতে” মাহফুজ সমন্বয়ক সার্জিসের বেশ ঘনিষ্ঠ, সার্জিসের প্রটোকল এবং ব্যাক্তিগত বিষয়াদি দেখে থাকে”। সূত্রের ভাষ্যমতে “একুশে হল মূলত চালায় সার্জিস,শিবিরের অনেকেই হল ছেড়ে দিয়েছে । ফেনীর ১৫-১৬ সেশনের খাদ্য ও পুষ্টি ইন্সটিউটের জাহিদুল ইসলাম সৈকত হলে শিবিরের দায়িত্বরত ছিলেন, যদিও তিনি বর্তমানে নাগরিক কমিটির নেতা।
ফজলুল হক মুসলিম হল
কুমিল্লার ২১-২২ সেশনের মো:স্বপন, রসায়ন, এফ এইচ হলশিবিরের অন্যতম ক্যাডার, ছাত্রলীগের বেশ ধরে ছিল।হল ছাত্রলীগের নেতাদের রুম ভাংচুরের নেতৃত্বে ছিল। হল ও হল সংসদ ফেসবুক গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে। ইকবাল হায়দার , ঢাবি শিবিরের বিজ্ঞান সম্পাদক, এফ এইচ হল শিবিরের রাজনীতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক।খন্দকার আবু নাঈম,এফ এইচ হল শিবিরের ১৮-১৯ সেশনের ছাত্র প্রতিনিধি। হল সংসদ নির্বাচন করবে বলে জোর গুঞ্জন। হল ছাত্রলীগের নেতাদের রুম ভাংচুরের মূল উস্কানি দাতাদের একজন। নোয়াখালীর ১৯-২০ সেশনের রসায়নের রাকিবুল ওমর অভি হল শাখা শিবিরের অন্যতম ক্যাডার, তোফাজ্জল হত্যায় তার জড়িত থাকার গুঞ্জন আছে । সম্প্রতি হওয়া শিবিরের বিজ্ঞান মেলায় খুব সক্রিয় দেখা গেছে তাকে এছাড়া ১৫-১৬ সেশনের নসিব ইসলাম অভি, এফ এইচ হল শিবিরের রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী মুখ। ডিসেম্বরে হঠাত করে চাকরি পেয়েছে সমন্বয়কদের বদান্যতায়।এফ এইচ হলের মূল নিয়ন্ত্রক আবু বাকের মজুমদার ও আবিদ আনোয়ার,দুজনেই অতীতে শিবিরের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, বর্তমানে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নেতা। শিবির সাথে মিলেমিশে তারা হল রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।
শহিদুল্লাহ হল
শহিদুল্লাহ হলে শিবিরের বেশ প্রভাব দেখাচ্ছেন, শেরপুরের ১৯-২০ সেশনের সুহানুর রহমান সোহান, সোনান শিবির সমর্থিত ও আবু বাকেরের ঘনিষ্ঠ।সোহানের নেতৃত্বে মধুতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হয় সম্প্রতি। রসায়নের কিশোরগঞ্জের ১৯-২০ সেশনের শিবির ক্যাডার কাওছার আহমেদ। শিবিরের এই ক্যাডার শহীদুল্লাহ্ হলের ছাত্রলীগ নেতাদের রুম ভাঙার নেতৃত্ব দিয়েছে। এপ্লাইড ম্যাথের ফেনীর ১৯-২০ সেশনের শিবিরের নওশের চৌধুরী। বোটানির ১৯-২০ সেশনের সজীব সরকার হল শাখা শিবিরের অন্যতম নিয়ন্ত্রক। তবে হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন “আন্দোলনে শহীদুল্লাহ হলে আন্দোলনে ছাত্রদল নেতৃত্ব দিয়েছে।
স্যার এ এফ রহমান হল
এফ রহমান হলের শিবির নেতা এ বি জুবায়ের (মোঃ যুবাইর বিন নেছারী) ঢাবি শিবিরের অন্যতম মুখ্য নেতা, শিবিরের রাজনীতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৭-১৮ সেশনের জহিরুল হক তমাল স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্র শিবিরের অন্যতম মূল নেতা। নোয়াখালীর ১৮-১৯ সেশনের তানভীর হোসেন শান্ত, ছাত্রলীগ নেতা,যে হল ছাত্রলীগ এবং বিশ্ব বিদ্যালয় ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদবীতে ছিল, ছাত্রলীগের গোপন তথ্য পাচা্রে জড়িত ছিল। শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিল। এফ রহমান হল সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ নিয়ন্ত্রণ করে, সে হাতিয়ায় থাকাকালীন শিবিরের সাথী ছিল বলে কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
শিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৮-১৯ সেশনের রিয়াজ উদ্দিন মুন্না। গুঞ্জন শোনা যায় হল ডাকসুতে গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রত্যাশী শিবিরের প্যানেল থেকে। ফরিদপুরের ১৯-২০ সেশনের মঞ্জিল হোসেন। ১৭ জুলাই হল ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর আক্রমণের নেতৃত্ব দেয়, এবং রুম ভাংচুর লুটপাটের অন্যতম হোতা।চুয়াডাঙ্গার ১৮-১৯ সেশনের মোঃ জুবায়ের হোসেন শিবিরের অন্যতম গুপ্তচর যে কিনা ছাত্রলীগের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। টাংগাইলের ১৮-১৯ সেশনের হুজ্জাতুল ইসলাম,,শিবিরের সক্রিয় সাথী যে হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ফেনীর ১৮-১৯ সেশনের সাখাওয়াত হোসেন, শিবিরের সাথি এবং হল শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ মুখ ।চট্রগ্রামের ১৮-১৯ সেশনের রায়হান উদ্দিন , ইসলামিক স্টাডিজের ১৯-২০ সেশনের এম এইচ বায়েজীদ, কিশোরগঞ্জের ২০-২১ সেশনের মোঃ সুজন , নাইম আহমেদ নীলয়, জুবায়ের আহমেদ শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ মুখ।
কুদরত ই খুদা হল, লেদার ইন্সটিটিউট
লেদারের ১৯-২০ সেশনের মাগুরার ইমরান হোসেন ঢাবি শিবিরের দফতর সম্পাদক, কুদরত ই খুদা হলে শিবিরের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে এই শিবির ক্যাডারের নেতৃত্বে। ট্রু গেজেট অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে উক্ত হলে শিবিরের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক একটি চক্র রয়েছে , এই হলের শিবিরের ক্যাডাররা হলো সিরাজগঞ্জের ১৯-২০ সেশনের শহীদুল ইসলাম ,কক্সবাজারের ২১-২২ সেশনের মোঃ আশরাফুল ইসলাম,সিলেটের ২২-২৩ সেশনের মোহাম্মদ রুহুল আমিন ,পটুয়াখালীর ২১-২২ সেশনের মো রিদুয়ানুল ইসলাম ,দিনাজপুরের ২০-২১ সেশনের ইসমাইল হোসেন সিরাজী,সিলেটের ১৯-২০ সেশনের মিজানুর রহমান মোরসালিন,২১-২২ সেশনের ইউনুস কায়সার কুদরত ই খুদা হলে শিবিরের অন্যতম সক্রিয় কর্মী।
ছদ্মবেশী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন
ট্রু গেজেটের অনুসন্ধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রায় দুই শতাধিক শিবির ক্যাডারের তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও এদের অনেকের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি, তবে ট্রু গেজেট বাকিদের পরিচয় শনাক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং শীঘ্রই তা প্রকাশ করবে। অনুসন্ধানে ইনকিলাব মঞ্চ,বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ডিবেটিং ক্লাব,বাধন, দাওয়া সার্কেল, অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট কোয়ালিশন ও স্টুডেন্ট সভারেন্টির মতো বেশ কিছু ছদ্মবেশী সংগঠনের সন্ধান পাওয়া গেছে,যেগুলো শিবির নিয়ন্ত্রন করে।ঝালকাঠির শিবিরের সাথী ১৯-২০ সেশনের শরীফ ওসমান হাদি ও ২২-২৩ সেশনের মোসাদ্দেক আলি শিবিরের ছায়া সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের হোতা, তাদের অন্যতম মূখ্য সহযোগী হিসেবে , আরবি বিভাগের লক্ষ্মীপুরের ১৬-১৭ সেশনের ইয়াসির আরাফত, ২১-২২ সেশনের ইব্রাহিম মাহমুদ, ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী শিবিরের সাথী রহমান জুবাহ।বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম মুলত ছাত্রশিবির এবং ছাত্রী সংস্থার নেতাকর্মীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরফাত হোসেন ভূইয়া ঢাবি শিবিরের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা এবং বর্তমান সম্পাদক, বর্তমান সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয় শিবিরের সাথী। চট্টগ্রামের শিবিরের ১৮-১৯ সেশনের নুরুল ইসলাম ঢাবি শিবিরের গত কমিটির সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক, ঢাবি শিবির . বর্তমান সভাপতি, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম। সম্প্রতি স্টুডেন্ট সভারেন্টির কার্যক্রম নিয়ে ট্রু গেজেটে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। শিবিরের বেশিরভাগ কর্মী ফোকাস ভর্তি কোচিংয়ের সাথে জড়িত। ঢাবি শিবিরের নেতাকর্মীরা বেশিরভাগ ফোকাস এবং রেটিনায় ক্লাস নেয়।
এছাড়া সদ্যঘোষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি জুবায়ের হোসেন এবং রাগিব আনজুম শিবিরের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছে। ঢাবি শিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদের দুজনই ঘনিষ্ঠ, বিভিন্ন সময়ে জসিম উদ্দিন হল বিতর্ক সংসদের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মূহসিন হলের ১৭-১৮ সেশনের ফুয়াদ হোসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি এস এম রাকিব সিরাজী শিবিরের সিন্ডিকেট গড়ার মূল হোতা, তামিরুল মিল্লাতে অধ্যয়নকালীন শিবিরের সাথী ছিলেন বলে অভিযোগ আছে , এমনকি তামীরুল মিল্লাতের থিম সং রাকিব সিরাজীর লেখা। ঢাবি শিবিরের বর্তমান সভাপতি এস এম ফরহাদকে জসিম উদ্দিন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি বানিয়েছিলেন রাকিব সিরাজী। রাকিব সিরাজি বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক।
এছাড়া সাংবাদিক সমিতিতে শিবির কর্মীদের ব্যাপক প্রচণ্ড প্রভাব দেখা যায়, ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ১৫-১৬ সেশনের মামুন আবদুল্লাহ , ১৬-১৭ সেশনের আল সাদী ভূইয়া শিবিরের সাথে ছাত্রজীবনে সম্পৃক্ত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। শিবিরের এক ঝাক কর্মী বর্তমানে ঢাবি সাংবাদিক সমিতি নিয়ন্ত্রন করছে এছাড়া ১৯-২০ সেশনের চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার শিবিরের সাথী বর্তমানে কালবেলার সাংবাদিক আমজাদ হোসেন হ্রদয়, রুংপুরের জিয়া হলের ১৯-২০ সেশনের কালবেলার প্রতিনিধি লিটন ইসলাম, চট্টগ্রামের বিজয় একাত্তর হলের ১৭-১৮ সেশনের দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, রাজশাহীর বিজয় একাত্তর হলের ১৭-১৮ সেশনের দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি হাসান আলি, মুহসিন হলের ২০-২১ সেশনের রাহাদ উদ্দিন, ১৯-২০ সেশনের চট্টগ্রামের ইংরেজি বিভাগের সাংবাদিক ডেইলি ক্যাম্পাসের তাওসিফ ইসলাম , ঢাকা পোষ্টের সাংবাদিক চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ২১-২২ সেশনের এইচ এম খালিদ হাসান সহ একাধিক সাংবাদিক শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
ঢাবির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন,
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির প্রকাশ্যে কোনো মিছিল করে না। তারা গোপনে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়। তবে ঢাবি শিবিরের কর্মীরা কেন্দ্রীয় শিবির এবং ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিবির তাদের ঘাঁটি ক্রমশ শক্ত করছে। হলগুলোতে ছাত্রদলের রাজনীতি করার সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে। হলের বিভিন্ন প্রভাবশালী গ্রুপগুলো প্রভোস্টদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ছত্রচ্ছায়ায় শিবির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) নিয়েও গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে,
বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ট্রু গেজেটকে জানিয়েছেন, ১৯৮৯ সালে ছাত্র মৈত্রীর এক নেতার কাটা কবজি নিয়ে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান হলে (আলাউল অথবা এফ রহমান হল) মিছিল করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচিত হওয়ার পর ঢাবি শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমকে সার্বক্ষণিকভাবে তার আশেপাশে দেখা যেত। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে সাদিক কায়েম প্রকাশ্যে ভিসির সাথে সাক্ষাৎ এড়িয়ে চলেন।
তবে একাধিক সূত্রের দাবি, গভীর রাতে অথবা খুব ভোরে সাদিক কায়েমসহ শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা প্রায়ই ভিসির বাসভবনে গোপনে সাক্ষাৎ করেন।
ভিসির আনুকূল্য পাওয়ার কারণেই ছাত্রশিবির ক্যাম্পাসে এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং ঢাবি ছাত্রদল স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে না।
ট্রু গেজেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের ক্যাডারদের মুখোশ উন্মোচন করার চেষ্টা চালিয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০-৭৫ শতাংশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, সংখ্যায় প্রায় ১৬০ জনের অধিক। বাকিদের পরিচয় নিশ্চিত করা গেলে খুব শীঘ্রই এই রিপোর্টে তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হবে।মেয়েদের ৫ টি হলে ছাত্রী সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্টের কাজ চলমান।