ইউনূসের নেতৃত্বে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মহাউৎসব

ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে ১৩৪ জন হত্যার স্বীকার হয়েছেন বলে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি  জানিয়েছে। প্রথম আলো ১২১ জন গত ছয় মাসে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। ট্রু গেজেটের অনুসন্ধানে ১৯১+ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং ৫১ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সহ ২৪১ জনের অধিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে জানায়। পুলিশ অধিদপ্তরের ভাষ্যমতে গত ছয় মাসে  খুনের ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৫৪৫টি। 

Editor
20 Min Read

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা ও বৈশ্বিক মিডিয়া প্রচুর সমালোচনা করলেও ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে এ বিষয়ে তাদের নীরবতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ট্রু গেজেট ইউনুসের আমলে নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টগুলো যাচাই-বাছাই করে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মহোৎসবের প্রমাণ পেয়েছে।

২০২৫ সালে ফেব্রুয়ারিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এর আগে, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে কুমিল্লায় স্থানীয় যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম যৌথবাহিনীর হেফাজতে নিহত হন। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে ময়মনসিংহে যুবদল নেতা সাইদুল ইসলাম যৌথবাহিনীর অভিযানে মারা যান। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ সালের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে ১২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭ জন যৌথবাহিনীর অধীনে এবং ৩ জন পুলিশের কাস্টডিতে মারা যান। এ ছাড়া, গাইবান্ধায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতাসহ পাঁচজন আটক হন, যাদের মধ্যে ২ জন পরে মারা যান। এদিকে, ইউনুস হত্যাকাণ্ডে তার আইন উপদেষ্টা সহ মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নজরে থাকলেও ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে এ বিষয়ে তাদের আশ্চর্যজনক নীরবতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমান সরকার আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নির্যাতন, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বেড়ে গেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে জানা যায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কেউ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়নি বলে দাবি করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

অথচ ডয়েচ ভেলে  অক্টোবরে  প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায় মব জাস্টিস: অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাসে ৪৯ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রংপুরে হিজবুত তাওহীদের কর্মীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে / ঢাকা পোস্ট

গত ৪ মার্চ ২০২৫ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ঢাকা পোষ্ট জানায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশে সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতা, গণপিটুনি, সংঘর্ষ, হামলা, নারী নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মাজারে হামলা ও ভাঙচুর, চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণ উল্লেখযোগ্য। যদিও এ মাসে বিভিন্ন সহিংসতায় প্রায় ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১০৪টি রাজনৈতিক সহিংসতা। সোমবার হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) নামে একটি সংস্থার ফেব্রুয়ারি মাসের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এইচআরএসএসের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংষর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। সারা দেশে কারাগার ও হাজতে কমপক্ষে ১২ জন আসামি মারা গেছেন। গণপিটুনির ১৭টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০ জন এবং আহত হয়েছেন ১৩ জন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে কমপক্ষে ১০৭ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫৩ জন ও ১৩ জনকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ৩৩ জন। অন্যদিকে ১০৪ জন শিশু নির্যাতনের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ২৯ জন।প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে কমপক্ষে ১০৪টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৯ জন এবং আহত কমপক্ষে ৭৫৫ জন। এসব সহিংসতার ঘটনার মধ্যে বিএনপির অন্তর্কোন্দলে ৫৮টি ঘটনায় প্রাণ গেছে পাঁচজনের ও আহত হয়েছেন ৪৯৪ জন। বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে ২৫টি সংঘর্ষের ঘটনায় দু’জন নিহত ও ১১৫ জন আহত হয়েছেন।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এ প্রকাশিত  রিপোর্টে শুধুমাত্র প্রথম আলো জানাচ্ছে যৌথবাহিনী, পুলিশ কিংবা গণপিটুনি – শেখ হাসিনার পরে বিচারবহির্ভূত হত্যা যেভাবে ঘটছে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে দেখা যায়, ২০২৪ সালে গণপিটুনিতে মোট মৃত্যু ১২৮টি।তবে অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর -এই চার মাসেই গণপিটুনিতে মৃত্যু ঘটেছে ৯৬টি।মূলত, ‘মব জাস্টিসের’ নামে বিভিন্ন জেলায় গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা গেছেন অনেকে। 

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে গণপিটুনি বা তথাকথিত মব জাস্টিসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছিলেন ৫১ জন৷ চলতি বছরের আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর- এই তিন মাসেই নিহত হয়েছেন ৬৮ জন৷ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়৷ আসক-এর তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ২০ জন৷ আর চলতি বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস আগস্ট থেকে অক্টোবরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ওভাবে নিহত হয়েছেন সাত জন৷ চলতি নভেম্বরেও একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷

খোদ মানবাধিকার কর্মী ও গুম কমিশনের সদস্য নূর খান বলেন,

‘‘এখন আমরা দেখছি মব জাস্টিসের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যা ভয়াবহভাবে ফিরে এসেছে৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতেও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে৷’’

খুলনায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের বোনের ছেলে শেখ আরিফুজ্জামান রূপম (৩৪) তথাকথিত গণপিটুনিতে নিহত হন সোমবার সকালে৷ তার মত্যু নিয়ে কথা বলতে চাননি তার চাচা এস এম মাহমুদ৷ মঙ্গলবার তিনি বলেন,

‘‘আমরা এখন তার দাফন নিয়ে ব্যস্ত, কথা বলা সম্ভব নয়৷ কারা মেরেছে, কেন মেরেছে বলতে পারছি না৷ আর পুলিশের কাছে যেয়ে কী হবে?’

এর আগের কিছু তথাকথিত মব জাস্টিসের শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ সারা দেশে আলোড়ন তুলেছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে ‘চোর’ সন্দেহের কথা বলে রীতিমতো পরিকল্পনা করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়৷ হত্যার সময় তোফায়েলের খিদে পেলে তাকে ভাত খেতে দেয়া হয়৷ ভাত খাওয়ার পর আবার তাকে পিটানো হয়৷ হাসপাতালে নিলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷’ একই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে৷ এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা৷ চট্টগ্রামে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নেচে-গেয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়৷ হত্যার এক মাস পর ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে৷

মব জাস্টিস: অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাসে ৪৯ জনকে পিটিয়ে হত্যা

অন্যদিকে ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ প্রকাশিত  বিবিসি বাংলার রিপোর্ট বলছে  ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর এসে দেখা যাচ্ছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, এমনকি নিরাপত্তা হেফাজতেও মৃত্যুর মতো ঘটনাও অব্যাহত আছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ কুমিল্লার স্থানীয় যুবদল নেতা তৌহিদুলের যৌথবাহিনীর নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা।পেটের দুইপাশে ছোট ছোট ফুটো। কোথাও রক্ত জমাট বাধা। লাল রঙ স্পষ্ট। কোমর, নিতম্ব থেকে হাঁটু পর্যন্ত শরীরের পেছনের অংশ প্রায় পুরোটাই লাঠির আঘাতে কালচে হয়ে গেছে। ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মৃত ভাইয়ের লাশের এমন ছবিগুলো দেখাচ্ছিলেন সাদিকুর রহমান। তার ভাইয়ের নাম তৌহিদুল ইসলাম। বাড়ি কুমিল্লা হলেও চাকরিসূত্রে থাকতেন চট্টগ্রামে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে বাবার মৃত্যুতে কুলখানির আয়োজনে এসেছিলেন কুমিল্লায়। কুলখানির রাতেই যৌথবাহিনীর অভিযানে বাসা থকে আটক হন তিনি।

“রাত আড়াইটার দিকে সেনাসদস্যরা বাড়িতে ঢোকে। সঙ্গে সিভিল পোশাকেও লোকজন ছিল। আমার ভাইকে খুঁজতে থাকে। আমার ভাই সামনে আসলে বলে অস্ত্র কোথায়? সে নাকি বাসায় অস্ত্র লুকায় রাখছে। আমার ভাই এবং আমরা সবাই বললাম, আমাদের কাছে তো কোনো অস্ত্র নাই।” ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন সাদিকুর রহমান। তিনি জানান, একপর্যায়ে অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি চালায় অভিযানে আসা ব্যক্তিরা। অস্ত্র না পেয়ে পরে তার ভাই তৌহিদুলকে আটক করে নিয়ে যায়। তিনি বলছিলেন, “ওরা যে নিয়ে গেছে, নিয়ে যাওয়ার পর থেকে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়া পর্যন্ত পুরো সময়টা শুধু পিটাইছে আর পিটাইছে। সকালে পুলিশ থেকে ফোন করে হাসপাতালে আসতে বলা হয়। সেখানে গিয়ে দেখি কোনো নড়াচড়া নাই ভাইয়ের। ডাক্তার বললো সে তো আগেই মারা গেছে।”

তৌহিদুলকে যে রাতে আটক করে যৌথবাহিনী, সেই একই রাতে একই গ্রামের লুৎফর নামে আরেকজনকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। চোখ বেঁধে কয়েক ঘণ্টা গাড়িতে রাখার পর ছেড়ে দেয়া হয় তাকে। লুৎফর জানাচ্ছেন, তার সামনেই লাঠি দিয়ে পেটানো হচ্ছিলো তৌহিদুলকে।

বিবিসি বাংলা আরো বলছে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, খুনের অভিযোগ বহু পুরনো। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে এমন আশা করা হলেও বাস্তবে সেটা ঘটেনি। বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে দেখা যায়, ২০২৪ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে যে ২১টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ১২টিই হয়েছে গত সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর এই চার মাসে। এর মধ্যে সাতটি ঘটনাই ঘটেছে যৌথবাহিনীর অধীনে। আর পুলিশের কাস্টোডিতে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন তিনজন। যৌথবাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতন এবং মৃত্যুর ঘটনা সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে গত সেপ্টেম্বরে, যখন দেশটির উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতাসহ পাঁচজন।সেই পাঁচজনের মধ্যে দুইজন পরে মারা যায়। সেসময় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাদের ‘পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে’। তবে নিরাপত্তা হেফাজতে এমন মৃত্যুর অভিযোগ থাকলেও সবচেয়ে বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আবার দেখা যাচ্ছে গণপিটুনিতে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে দেখা যায়, ২০২৪ সালে গণপিটুনিতে মোট মৃত্যু ১২৮টি। তবে অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর -এই চার মাসেই গণপিটুনিতে মৃত্যু ঘটেছে ৯৬টি।

৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিডিনিউজ ২৪ বলছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত প্রায় পাঁচ মাসেও অন্তত ১২ জন বিভিন্ন সরকারি বাহিনীর হেফাজতে মারা গেছেন ও ‘বিচার বহির্ভূত হত্যার’ শিকার হয়েছেন। এই পাঁচ মাসে ৯৮ জনকে বিভিন্ন অভিযোগে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ এসেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিবেদনে।আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২৪ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর, মন্দির ও ব্যবসা- প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ১৪৭টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪০৮টি বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে, অগ্নিসংযোগ হয়েছে ৩৬টিতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে ১১৩টিতে, মন্দির ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে ৩২টি, হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে ৯২টি প্রতিমা ভাংচুর হয়েছে। এসব ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩ জন এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ১ জন নিহত হন, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮২ জন।

এছাড়া গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রথম আলো একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত হামলার শিকার সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ হাজার ৬৮। এর মধ্যে কমপক্ষে ৫০৬টি স্থাপনার মালিক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। প্রতিবেদনে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৯টি জেলাতে হামলার ঘটনা ঘটার তথ্য পাওয়া যায়। নিহত ২ জন। 

ঢাবিতে তোফাজ্জল নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা করার পরে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ্য করা হবে না  বলে ঘোষণা দেন আসিফ নজরুল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে  আসিফ নজরুলের এই বক্তব্যের পর  প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী অক্টোবর ২০২৪ থেকে জানুয়ারী ২০২৫, মাত্র চার মাসে আরো ৭৫+ জন বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। 

 গত ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ময়মনসিংহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার সাইদুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি নগরীর আলোচিত শামসুল হুদা সুমন হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি দখল, বালুরঘাট দখল, চাঁদাবাজি, অস্ত্র প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনায় সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর কাছে একাধিক অভিযোগ এলে গত সোমবার রাতে সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনীর একটি দল। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। পরে রাত দেড়টার দিকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের স্বজনরা বলেন,

সাইদুল আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সাইদুল ইসলাম নিহতের বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য নেই। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী বলতে পারবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে কেউ না কেউ। গত  ২৭ ফেব্রুয়ারি  ২০২৫ বাড়ি ফেরার পথে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়   পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,

কামারিয়া ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে জাকারিয়া বাদলের দ্বন্দ্ব ছিল। কিছুদিন আগে বিএনপির এক সভায় এ বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। এরপর দ্বন্দ্ব আরও বাড়ে। তারা আরও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভীমগঞ্জ বাজারে সংগঠনের নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জাকারিয়াসহ তিনজন একটি মোটরসাইকেলে শেরপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার কাছে তাদের ওপর হামলা চালায় লুৎফর রহমানের লোকজন। তারা জাকারিয়ার পাশাপাশি সোহাগ ও রুহুলকেও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ওই সময় আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা সটকে পড়ে। পরে আহতদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাতে জাকারিয়া ও সোহাগের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাকারিয়া বাদল।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫ তারিখে  স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ।নিহত বাবুল মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন,

‘আজ দুপুরে আমি ও আমার স্বামী আকশীরনগর হাউজিংয়ের ভেতর সরিষা মাড়াই করছিলাম। এ সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী আফসার, আরশাদ, মনিরসহ আরও ৪-৫ জন লাঠি ও পাইপ দিয়ে আমার সামনে আমার স্বামীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ও চোখ উপড়ে দেয়।’ ‘আমি ও এলাকার লোকজন আমার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে চাইলে তারা বাধা দেয়। একসময় আমার স্বামী নিস্তেজ হয়ে পড়লে তারা চলে যায়। পরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন,’ বলেন ইয়াসমিন।

এছাড়া ট্রু গেজেট গত সেপ্টেম্বরে বিএনপি জামায়াত এবং সমন্বয়কদের হামলায় আওয়ামী  লীগের ১৯০ জন নিহত নেতাকর্মীর সংখ্যা প্রকাশ করেছে,ইতিমধ্যে সে সংখ্যা আরো বাড়ছে। 

এরমধ্যে বগুড়ায় একটি কারাগারে এক মাসের ব্যবধানে চার জন আওয়ামী লীগ নেতা পুলিশের হেফাজতে মারা যান। এছাড়া ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে  বিবিসি বাংলা বলছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা বগুড়ায় ১১ই নভেম্বরের পর থেকে গত এক মাসে কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় অন্তত চার জন আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। গুড়া কারাগারে আটক আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে সবশেষ সোমবার মারা গেছেন জেলার গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিঠু। তিনি তার দলের ইউনিয়ন কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।এর আগে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ, বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রতন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত আলম ঝুনুও আটক থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। আব্দুল লতিফ গত ২৫শে নভেম্বর আর শহিদুল ইসলাম ১১ই নভেম্বর মারা গিয়েছিলেন ।’নাশকতা’ কিংবা ‘হত্যা মামলার’ আসামী হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছিলো। ‘হার্ট অ্যাটাক কিংবা অন্য অসুস্থতায়’ এদের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ বললেও নিহতদের একজনের সন্তান বিবিসিকে বলেছেন

তার বাবা ‘কখনোই হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন না’ এবং কারাগারে যখন তারা সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন তখনও কোন অসুস্থতার কথা তার বাবা তাদের জানাননি।

কারাগারে আটক অবস্থায় মারা যাওয়া আরও দুজনের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে আওয়ামী লীগ বলছে ‘এগুলো পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’। 

এদিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনায় আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই দুজন তাদের সক্রিয় কর্মী। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন সতর্ক অবস্থানে।সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী আগে গুলি ছোঁড়ে ।

এছাড়া প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন আনুযায়ী জানা যায় গত ৩ মার্চ রাতে কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেডে ডাকাতি করতে এসে জনতার পিটুনির ঘটনায় ছয় জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একটি লাশ আজ সোমবার সকালে নদীর শরীয়তপুর সদর উপজেলার টুমচর এলাকা থেকে এবং আরেকটি লাশ আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নে বিদ্যাবাগিস সেতুর নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে পিটুনির ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁরা সবাই ডাকাত দলের সদস্য। এ ছাড়া জনতার পিটুনিতে আহত আরও পাঁচজন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর দিকে ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে আট ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশের  আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে  সেটি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ প্রকাশিত  বণিক বার্তার প্রতিবেদন থেকেই পরিস্কার। পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে খুন, অপহরণ, চুরি, ছিনতাই ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে সর্বমোট ৫ হাজার ৮৬২টি। এর মধ্যে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের হামলার শিকার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ১৯২টি। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৩২৯টি। খুনের ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৫৪৫টি। সেই সঙ্গে ছিনতাই ও চুরির মতো অপরাধও বেড়েছে এ সময়ে। এ সময়ের মধ্যে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে যথাক্রমে ৩ হাজার ১৫৩ ও ৬২৩টি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম  অবনতি ঘটেছে যদিও ইউনূস দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে সাফাই গেয়েছেন সম্প্রতি বিবিসি বাংলায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে। 

আমিতো হিসাব নিচ্ছি। অপরাধের পরিমাণ মোটেই বাড়েনি। আগের মতোই হয়েছে।

অথচ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে ১৩৪ জন হত্যার স্বীকার হয়েছেন বলে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি  জানিয়েছে। প্রথম আলোর ভাষ্যমতে ছয় মাসে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১২১ জন। ট্রু গেজেটের অনুসন্ধানে ১৯১+ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং ৫১ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সহ ২৪২ জনের অধিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে জানায়। পুলিশ অধিদপ্তরের ভাষ্যমতে গত ছয় মাসে  খুনের ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৫৪৫টি।  জাতিসংঘের রিপোর্টে আওয়ামী লীগ ওএইচসিএইচআরকে একটি বিস্তারিত তালিকা দিয়েছে যাতে তাদের দলের নিহতদের নাম, তারিখ ও কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এই তালিকা অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৪৪ জন নেতাকর্মী হামলায় নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে নিহত হন ১৮ জন।

অর্থাৎ দেশের  আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে,সাধারণ মানুষের জনমালের কোন নিরাপত্তা নেই প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী হতে শুরু করে সাধারণ জনগণ  গুম,খুনের শিকার হচ্ছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী র‍্যাব এবং সন্ত্রাসীদের দ্বারা।  আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত ভিক্টীম হচ্ছেন যেখানে , বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরাও বাদ যাচ্ছেনা বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে। অথচ প্রধান উপদেষ্টা সগর্বে অস্বীকার করে যাচ্ছেন কিংবা এটর্নি জেনারেল বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডকে অস্বীকার যেভাবে করছেন এই অরাজকতা,বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড রাস্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষ্কতায় হচ্ছে কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যায়! 

Share This Article
error: Content is protected !!