আগষ্ট ২০২৪ সালে সরকার পতন ঘটিয়ে দেশের মানুষ কি পেয়েছে সেই হিসেব জনগণেই করবে। কিন্তু উপদেষ্টা এবং সমন্বয়কেরা কে কি পেলো সেই ফিরিস্তি বলতে গেলে শেষ করা যাবে না। বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুস রীতিমতো ব্যবসার দোকানপাট খুলে বসেছেন। তার উপরে থাকা ৬৬৬ কোটি টাকার কর ফাঁকির মামলাটি কোনরকম আইন আদালতের তোয়াক্কা না করেই বাতিল করেছেন, সাথে ৬৬৬ কোটি টাকাও দিতে হয়নি। ২০২৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংককে ১ টাকাও কর দিতে হবে না, সেই রাইটস নিয়ে নিয়েছেন। এমনকি গ্রামীণ ব্যাংকের উপর রাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ মালিকানা কমিয়ে সেটিও ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ওয়েট এখনো শেষ হয়নি। উপদেষ্টা এবং সমন্বয়কদের এই আমলনামা বেশ দীর্ঘ।
ড. ইউনুসের ৬৬৬ কোটি টাকা কর দেয়ার রায় প্রত্যাহারঃ
https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/10/03/1431363
গ্রামীণ ব্যাংকের ২০২৯ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতিঃ
https://www.jugantor.com/economics/864221
সুযোগ সুবিধা নিয়ে সমালোচনার মুখে ডক্টর ইউনূসঃ
https://www.bbc.com/bengali/articles/cnv1yev98qeo
গ্রামীণফোনের কাছে রাষ্ট্রের পাওনা ছিল সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। ডক্টর ইউনুস প্রধান উপদেষ্টা হবার পর এক টাকাও দিতে হয়নি রাষ্ট্রকে। গ্রামীণফোন ২০২৩ সালে যত টাকা লাভ করেছে, এরচেয়ে কম লাভ দেখিয়েছে ২০২৪ সালে। প্রায় ৩৩০% ডেভিডেন্ট দিয়ে দেখালো লভ্যাংশের ৪৪৫৬ কোটি টাকা শেয়ার হোল্ডারদে দিবে। মজার বিষয় – গ্রামীণফোনের কোম্পানির ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক নরওয়ের টেলিনর কোম্পানি। মানে ৪৪৫৬ কোটি টাকার মধ্যে অর্ধেক টাকা চলে গেছে সুইডেনে। এদিকে – ঐ যে গ্রামীণফোনের কাছে সরকারের পাওনা ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়নি। BTRC ১২০০ কোটি টাকা পায়, সেটাও পরিশোধ করা হয়নি। কেনো? কারণ গ্রামীণ টেলিকম তো ডক্টর ইউনুসেরই আরেকটা সিস্টার্স প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ টেলিকমের উপর আবার টেক্স মওকুফ করা হয়েছে। তা – নিজের দিকটা ভদ্রলোক দেখবেন না?
গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা, টেলিটক-রবির কাছে ২৪শঃ
https://www.jugantor.com/national-others/642740
বছরের শুরুতে গ্রামীণফোনের আয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বেশিঃ
https://www.prothomalo.com/business/market/fpv4fx7fz6
আরো আছে – জনশক্তি রপ্তানির নামে ড. ইউনুস প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস’। অনুমোদন দিয়েছেন ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’। গ্রামীণ টেলিকম পেয়েছে ডিজিটাল ওয়ালেট চালুর অনুমতি। কোনপ্রকার টেন্ডার ছাড়াই এসএসএস পদ্ধতিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ৭০০ কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে ডক্টর ইউনুসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ট্রাস্টে।
ড. ইউনুসের নতুন ব্যবসার দোকান ও দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতিঃ
https://www.facebook.com/share/p/16hCiWKnDo
ওয়েট! আরো আছে – বাংলাদেশে না-কি ইলোন মাস্কের স্টারলিং ইন্টারনেট এসেছে? হ্যাঁ, তবে সেটি বাংলাদেশ সরকার বা জনগণের জন্যে নয়, সেটি হবে মূলত ডক্টর ইউনুসের গ্রামীণফোন ও গ্রামীণ ব্যাংকের সম্প্রসারণের জন্যেই। ইন্টারেস্টিং না?
স্টারলিংক হবে গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণফোনের সম্প্রসারণ, মাস্ককে ডক্টর ইউনূসঃ
https://thesun24.com/starlink-extension-of-grameen-bank…
ডক্টর ইউনুসের এমন আরো ফিরিস্তি আছে। আপাততঃ অন্য একজন উপদেষ্টার বিষয়ে বলা যাক। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পিতা জনাব বিল্লাল হোসেন একজন স্কুল শিক্ষক। সম্প্রতি যিনি প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদারি তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। অবশ্য ব্যাপারটা জানাজানি হলে এই উপদেষ্টা ব্যাপারটাকে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে জানান। কিন্তু, আরো কিছু ব্যাপারে দেখা যায় এই উপদেষ্টার পিতা রীতিমতো ঐ এলাকায় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। বিগত ৪ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ‘মূল হোতা’ ও মামলার প্রধান আসামি আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাকে নিয়ে দেশবাসী মাতোয়ারা। পুলিশও না-কি সেই আসামীকে খুঁজে পায় না। অথচ এদিকে সেই আসামী এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়ার পিতা জ. বিল্লাল হোসেনকে একসঙ্গে বসে পার্টি করতেও দেখা গেছে। যার প্রভাবেই হত্যার দীর্ঘদিন পরেও চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহ’কে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বাবা ও এপিএস কাণ্ডে আলোচনায় আসিফ মাহমুদ, কী বলছেন উপদেষ্টাঃ
https://www.bbc.com/bengali/articles/cwy0d9zdeeeo
উপদেষ্টা আসিফের বেপরোয়া পিতার যতসব কর্মকাণ্ডঃ
https://www.facebook.com/share/v/174PDVNy44
এদিকে দুদক জানিয়েছে – আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন দায়িত্ব পালনকালে প্রভাব খাটিয়ে তদবির ও টেন্ডার সংক্রান্ত নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদ গড়ে তুলেছেন। যার পরিমাণ – কয়েক শত কোটি টাকারও বেশি। একই অভিযোগ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের পিও তুহিন ফারাবি ও ডাক্তার মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ উঠেছে এই দুজন তদবির বাণিজ্যের মাধ্যমেই শতশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। একটা মজার বিষয় ঘটে গেছে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হিসেবে এই যে নুরজাহান বেগমকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তিনি ছিলেন একজন ব্যাংকার। ভদ্রমহিলা ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রশাসন এবং প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক কর্মসূচির মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। এছাড়াও ভদ্রমহিলা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যের উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।
দুই উপদেষ্টার এপিএসের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকঃ
https://www.jugantor.com/tp-lastpage/945726
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের যোগ্যতাঃ
https://www.prothomalo.com/bangladesh/v5ryndssed
গতকাল থেকে অন্য একজন উপদেষ্টার অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়েও বেশ আলোচনা হচ্ছে। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তার ভাই ট্যাক্সি চালক মাহবুব আলম মাহির অবস্থান করছেন। উপদেষ্টা মাহফুজ সিডনিতে থাকা ভাইয়ের সঙ্গে অস্বাভাবিক সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন করেন।
সিডনিতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ, মাহফুজ ও তার ভাই বললেন গুজবঃ
https://www.tbsnews.net/…/bangladesh/news-details-370721
এই-তো গেলো গুটি কয়েক উপদেষ্টার ফিরিস্তি। কতিপয় সমন্বয়কদের অবস্থা আরো ভয়ানক। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অন্যতম প্রভাবশালী নেতা এবং দলের যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যসহ বেশ কিছু অভিযোগ ওঠার পর তাকে বরখাস্ত করা হয়। বিশেষ করে – জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোডের্র (এনসিটিবি) কাগজ সরবরাহে ৪শ কোটি টাকা কমিশন নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তানভীরের বিরুদ্ধে। এছাড়াও – ৫৩ জেলায় ডিসি (জেলা প্রশাসক) নিয়োগে অসাধু কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সুযোগ নেন সালাউদ্দিন। ঐ নিয়োগে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন এই সালাউদ্দিন তানভীর।
তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ – সালাউদ্দিন তানভীরের অপকর্ম ফাঁসঃ
https://www.jugantor.com/tp-firstpage/944844
এছাড়াও – খাগড়াছড়িতে এনসিপি নেত্রীর দুর্নীতি, ঢাকার গুলশানে সাবেক এক এমপির বাসায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা তোলা, পারিবারিক আর্থিক সমস্যা থাকা স্বত্বেও শতাধিক গাড়ি নিয়ে সারজিস আলমের শোডাউন এবং পূর্বপুরুষ জমিদার ছিল বলে ফিরিস্তি গাওয়া ছাড়াও রয়েছে সমন্বয়ক ও এনসিপি নেতাদের অজস্র চাঁদাবাজির ডাকাতির খবর।
সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি – প্রশ্নের মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ তিন সংগঠনঃ
https://www.bbc.com/bengali/articles/cx29eq9vwywo
গাড়িবহরের টাকার উৎস জানালেন সারজিস আলমঃ
https://www.kalerkantho.com/…/national/2025/03/25/1497098
রংপুরের সমন্বয়ক নাহিদ হাসান খন্দকারের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ; চাঁদাবাজির দায়ে ফেনীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত সহসমন্বয়ক ওমর ফারুক; কয়রায় এনসিপির কমিটিতে নেই তবুও ইফতারের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ; চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেপ্তার সমন্বয়ক শাহরিয়ার সিকদার ও আবির চৌধুরী; সাভারে মোঃ আজিজ নামে চাঁদাবাজির কারণে এক সমন্বয়ককে গ্রেফতার; পিরোজপুরে মডেল মসজিদে হামলা ভাংচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি মুসাব্বির মাহমুদ সানি ও তার সহযোগী মিলন শিকদারকে গ্রেপ্তার; চট্টগ্রামে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে আবদুল কাদের ওরফে ইমন ও আসাদুজ্জামান ওরফে রাফিকে আটক; রাজশাহীতে চাঁদাবাজির সময় গ্রেফতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী মিশু, সংগঠনের জেলা কমিটির মূখ্য সংগঠক সোহাগ সরদার, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল বারী ও ছাত্রনেতা আল-সাকিব; চাঁদপুরে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ জনতার হাতে আটক হন পাঁচ যুবক – হেলাল, বিল্লাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, আকাশ, নিরব; হবিগঞ্জে এক সমন্বয়কের চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় অন্য সমন্বয়ক সোহাগ গাজিকে ছুরিকাঘাত; সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে গভীর রাতে বালু ও পাথর বহনকারীদের কাছে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে ৯ জনকে আটক; রাজধানীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি এবং হামলায় ১৪ সমন্বয়ক গ্রেফতার; উত্তরার হোটেলে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় ২ নারীসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার! ৫’ই আগস্টের পর এনসিপি নেতা, সমন্বয়কদের দ্বারা চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ এমন অজস্র নিউজ আছে। এছাড়াও – মব সৃষ্টি করে সমন্বয়কদের দ্বারা আঃলীগ নেতাদের বাড়িঘরে লুটপাট চালানোর এমন অজস্র দৃষ্টান্ত, প্রমাণও আছে। আছে ধর্ষণের মতো ঘটনাও।
রংপুরে সমন্বয়ক নাহিদ হাসান খন্দকারের চাঁদা দাবির অভিযোগঃ
https://www.bbc.com/bengali/articles/c7890vz7rlno
চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার – বহিষ্কৃত সহসমন্বয়কঃ
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/6h3ukzt78y
চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক দুই সমন্বয়ক পুলিশ হেফাজতেঃ
https://bangla.thedailystar.net/news/chattogram/news-661781
ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ১ জনঃ
https://www.banglanews24.com/nati…/news/bd/1385437.details
পিরোজপুরে চাঁদাবাজির মামলায় এনসিপির প্রতিনিধিসহ গ্রেপ্তার ২ জনঃ
https://www.news71.com/bangladesh/103985
সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ২ জনঃ
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/cdwrrmnuqo
চাঁদাবাজির অভিযোগে অবরুদ্ধ ৪ সমন্বয়কঃ
https://www.jaijaidinbd.com/education/534155
সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি অস্ত্রসহ আটক ৫ জনঃ
https://www.dainikamadershomoy.com/details/01942d51ce6b8
সমন্বয়কের চাঁদাবাজি, বাঁধা দেয়ায় আরেক সমন্বয়ককে ছুরিকাঘাতঃ https://www.kalerkantho.com/…/countr…/2024/09/07/1423006
সমন্বয়কের সহায়তা রশিদে চাঁদাবাজি, যুবক আটকঃ
https://www.dhakapost.com/amp/country/311482
সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, নারীসহ গ্রেফতার ৯ জনঃ
https://www.jugantor.com/capital/869966
কোম্পানীগঞ্জে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৯ জনঃ
https://dailysylhetmirror.com/news/64925
জুলাই আগষ্টে সত্যিকার অর্থেই দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে শাসকের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়েছিল। তাদের আশা ছিল – বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থেই দুর্নীতি আর চুরি চামারি বন্ধ হবে। কিন্তু সেসকল মানুষ আসলেই জনাতো না, সেটা সরকার কিংবা শাসকের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনের আন্দোলন ছিল না। তা ছিল বাংলাদেশে বসে পশ্চিমা গোষ্ঠীর দালালি করা একদল লোভী চতুর ধুরন্ধর লোকের উদ্দেশ্য সফল করার আন্দোলন। ফলে এদেশের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন না ঘটলেও, মেহনতী মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন না ঘটলেও, পশ্চিমা গোষ্ঠীর সেসব দালালদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে ঠিকই। বাংলাদেশের মানুষেরা আবারো প্রতারিত হয়েছে, প্রতারিত হয়েছে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমনকি ডক্টরেট করা ঐ নোবেল জয়ীর কাছেও। সুদূর ভবিষ্যতে এদেশের মেহনতী মানুষেরা হয়তো আর কোনো শিক্ষিত লোকেদের বিশ্বাসই করবে না। এদেশের মানুষেরা জেনে গেছে – নোবেলজয়ী ব্যক্তিটিও রক্তের উপর দাঁড়িয়ে কিভাবে ব্যবসার দোকান সাজিয়ে বসতে পারে। এদেশের মানুষেরা জেনে গেছে – সুযোগ পেলে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশকে কিভাবে লুটতে পারে, মানুষদেরকে বোকা বানাতে পারে।
– জুলাই আগষ্টে একদল মানুষ সত্যিকার অর্থেই দেশের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা জানতে পারেনি – সেটা শাসকের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তনের আন্দোলন ছিল না, সেটা ছিল পশ্চিমা গোষ্ঠী দালালদের ভাগ্য পরিবর্তনের আন্দোলন, ব্যবসা ও দোকান সাজিয়ে বসার আন্দোলন। এসকল দালাল ধুরন্ধর লোকেরা দুহাতে লুটে বিদেশে চলে যাবে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পূর্বের অবস্থানের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতিতে থেকে যাবে। যার দরুন – যে যেভাবে পারছে লুটে নিচ্ছে।