সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ৫ জুলাই থেকে ডিসেম্বর এর প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হত্যাকান্ডের শিকার ১৬০ জন আওয়ামী লীগ কর্মীর তালিকা পর্যালোচনা ট্রু গেজেটের।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতার এক ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে। এতে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বিভিন্ন জেলায় আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত যশোর জেলায় সবচেয়ে বেশি নেতাকর্মী হত্যার ঘটনা ঘটেছে ১৫ জুলাইয়ের পর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে ১৬০ জনের মৃত্যুর হিসেব এসেছে।

সর্বোচ্চ হত্যাকাণ্ডের শিকার জেলা:
পরিসংখ্যান অনুযায় যশোর জেলায় আওয়ামী লীগের ২৭ জন নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, যা দেশের রাজনৈতিক সহিংসতা তথা মব জাস্টিসের সবচেয়ে ভয়াবহ দৃষ্টান্ত।
যশোরের পাশাপাশি আরও কিছু জেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে:
– **সাতক্ষীরা:** ১২ জন
– **সিরাজগঞ্জ:** ৭ জন
– **বগুড়া:** ৭ জন
– **নরসিংদী:** ৬ জন
– **লক্ষীপুর:** ৬ জন
– **কুমিল্লা:** ৬ জন
– **ঢাকা:** ৬ জন
তাছাড়া রংপুর, ফেনী, জয়পুরহাট, এবং চট্টগ্রামের মতো জেলাগুলোতেও ৪ জন করে নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন।

রাজনৈতিক সহিংসতার পর্যালোচনা:
যশোরসহ অন্যান্য জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর এ ধরনের হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রতিশোধমূলক সহিংসতার ফল। বিশেষত, সারাদেশে ১৬০+ জনের হত্যার ঘটনাসব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতি সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা আরো প্রশ্নবিদ্ধ করছে হচ্ছে। এই সহিংসতা কেবল একটি দলের ক্ষতি নয়, এটি দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি। রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।