কারা শামীম হত্যাকারী ? কীভাবে শামীমকে হত্যা করা হয়!

Editor
11 Min Read
জাবি ছাত্র শামীম হত্যাকারী কারা?

শামীম মোল্লা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং এর পেছনে অনেকগুলো ঘটনা রয়েছে। ঘটনার পুনঃনির্মাণ করতে গেলে কিছু বিষয় পরিস্কার হয়ে ওঠে—বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বর্তমান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা,,ছাত্রশিবির, এবং সমন্বয়ক সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের দ্বারা শামীম মোল্লা হত্যার স্বীকার  হয়েছেন।  ট্রু গ্যাজেটের অনুসন্ধানকালে ১৬ জনের নাম পরিচয় উদঘঠিত হয়েছে। আমরা অনুসন্ধানে পেয়েছি এই হত্যার দায় প্রকটর ও এড়াতে পারেন না।

শামীম মোল্লাকে চার ধাপে হত্যা করা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদ মধ্যমের বক্তব্য পর্যালোচনা করে এবং জাহাঙ্ঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীদের তথ্য পর্যালোচনা করে বিষয়ে বিস্তারিত উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।

ট্রু গেজেট বিশদভাবে হত্যার ঘটনা আপনাদের কাছে তুলে ধরছে…… 

শামীম হত্যাকাণ্ডের পটভূমিঃ 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লাকে বুধবার বিকেলে  বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকসংলগ্ন  প্রান্তিক গেট এলাকায়  দেখতে পান কয়েকজন শিক্ষার্থী। এরপর শুরু হয় অন্ধকার অধ্যায়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শামীমকে কয়েক দফা পেটানোর পর প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে আবারও তাঁকে নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হলে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি মারা যান।

প্লট এক: হত্যাকাণ্ডের সূচনা

বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে শামীম মোল্লা প্রান্তিক ফটকের(জয় বাংলা ফটক)  কাছে শামীম মোল্লা পৌঁছালে তাকে কয়েকজন শিক্ষার্থী আক্রমণ করেন। দ্য ডেইলি স্টার এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বায়োটেকনোলজি বিভাগের আহসান লাবিব এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আতিক সহ বেশ কয়েকজন  সেখানে শিক্ষার্থী তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। ভিডিও ফুটেজে এ দৃশ্য দেখা যায়। পরে তাঁকে কয়েক দফা পিটিয়ে প্রক্টর অফিসে নেওয়া হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল টিম তাকে উদ্ধার করে প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। 

জাবি ভিত্তিক ফেসবুক পেজ ‘JU Insider’ বলছে চার দফায় মারা হয় শামীমকে

প্লট দুই: প্রক্টর ও নিরাপত্তা অফিসের ঘটনা

প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়ার পরেও হামলা থামেনি। প্রক্টরের সামনেই কয়েকবার তার অফিসে মারধরের শিকার হন শামীম। প্রকটর অফিসের সামনে এবং ভেতরে কয়েকবার শামীমকে মারধর করা করে হামলাকারীরা। প্রক্টরের বর্ণনা অনুযায়ী, কিছু বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি শামীমকে আবারও জোর করে নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে যান এবং সেখানে তালা ভেঙে তাকে আবার মারধর করেন। এখান থেকেই হত্যার মূল প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর মধ্যে শামীমের শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যেতে থাকে। 

প্রথম আলোকে দেওয়া প্রক্টরের ভাষ্য অনুযায়ীঃ

এ অবস্থায় কিছুক্ষণ পর কয়েকজন বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি শামীম মোল্লাকে সেখান থেকে জোর করে বের করে নিয়ে নিরাপত্তা অফিসে যান। খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই এবং নিরাপত্তা অফিসের গেটে তালা লাগিয়ে দেই। এর কিছুক্ষণ পরই একদল ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। তখন তাদের বললাম, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এখানে উপস্থিত থাকা অবস্থায় তোমরা তাকে মারতে পারো না। এ কথায় অনেকে নিবৃত হয়। কিন্তু কিছু লোক বিক্ষুব্ধ হয়ে তালা ভেঙে তাকে মারধর করে।’

প্লট তিন: শেষ মুহূর্ত ও মৃত্যু

 জাবি প্রক্টর ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এর মধ্যেই আমরা প্রায় সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ আনুমানিক রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে। পরে রাত সোয়া ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার দিকে আমি ঢাল হয়ে দাঁড়াই, যাতে ওকে আর কেউ আঘাত না করে। সেভাবে তাকে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেই। রাত ৮টার দিকে পুলিশ শামীমকে হেফাজতে নেয় এবং তাকে আশুলিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  

অর্থাৎ পুলিশ উপস্থিত হওয়ার পর ও  এক ঘণ্টা ধরে এই শামীমকে পেটায় সন্ত্রাসিরা,প্রকটর এবং পুলিশের এই হত্যাকান্ডে ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিছিহাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সেলিমুজ্জামান সুজন   দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে  বলেন, “তাকে রাত সোয়া নয়টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা পরীক্ষা করে জানতে পারি– উনি মারা গেছেন। মূলত উনি আগেই মারা গিয়েছিলেন। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।” রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক শামীমকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডেইলি স্টার কে জাবি প্রক্টর বলেন  পরে রাত ১০টার দিকে আমাকে হাসপাতাল থেকে নিশ্চিত করা হয় শামীম মোল্লা মারা গেছেন।’

হামিদুল্লাহ সালমানের স্বীকারোক্তি

অর্থাৎ শামিমকে টানা তিন ঘণ্টা নির্মমভাবে অত্যাচারের পরে এবং  পুলিশ হেফাজতে নেয়ার এক ঘন্টা পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এই হত্যাকাণ্ড কি পরিকল্পিত? বাকিটা জাহাঙ্গীরনগরের প্রক্টরের ভাষ্য দেখলেই পাঠকদের বুঝে যাওয়ার কথা।

গণপিটুনিতে মৃত্যুর বিষয়টিকে ‘অস্বাভাবিক’ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম   দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, “১৫ জুলাই উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে শিক্ষার্থীরা আটকের পর মারধর করে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেয়। আমরা আশুলিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশের একটি টিম আসে। এসময় তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এরপর পুলিশে সোপর্দ করলে তিনি নিজে হেঁটে পুলিশের গাড়িতে ওঠেন। তখন তাকে দেখে আশংকাজনক মনে হয়নি। পরবর্তীতে পুলিশের গাড়িতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। বিষয়টি ভালোভাবে না জেনে মন্তব্য করতে পারছি না।”

অর্থাৎ প্রক্টর গুরুত্বর আহত শামীমকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে পুলিশ হেফাজতে তুলে দিয়েছেন,প্রক্টরের  কি দায়িত্ব ছিলোনা,শামিম মোল্লাকে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে পাঠানো,দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া? প্রক্টরের সামনে দুই ঘন্টা মারার পরে তিনি কীভাবে শামীমের অবস্থা আশংকাজনক মনে করেন না?

কারা হত্যাকরেছে  শামীমকে?

শামীম হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠী নিজেদের অবস্থান নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আহসান লাবিবকে ওই ঘটনার পরই তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রাথমিকভাবে আটজন শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এদের মধ্যে আহসান লাবিব, রাজু আহমেদ, মাহমুদুল হাসান রায়হান, এবং হামিদুল্লাহ সালমানের নাম বিশেষভাবে উঠে আসে। আরও ২০-২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অতি উৎসাহী কিছু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী, ছাত্রদল নেতাকর্মী ও শিবির কর্মীরা শামীমকে পেটানোর সঙ্গে জড়িত।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী  দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে  বলেন, এই মারধরের নেতৃত্ব দেন জাবি শাখা ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ভূঁইয়া।  প্রক্টর অফিসের সামনে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজু হাসান রাজন ও ইংরেজি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হামিদু্ল্লাহ সালমানকে মারধর করতে দেখা যায়। তারা উভয়ে ছাত্রদলের কর্মী।  এবিষয়ে জানতে চেয়ে তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে  মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।”

আজকের পত্রিকা বলছেঃএ ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, লাঠি হাতে তাঁকে মারছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব। এ সময় লাথি দিতে দেখা যায় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিককে।এদিকে নিরাপত্তা শাখার কার্যালয়ের ভিডিও ফুটেজ থেকে পাঁচজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া, রাজু আহমেদ, রাজন হাসান, হামিদুল্লাহ সালমান এবং এম এন সোহাগ। সবাই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

শামীম মোল্লা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একটি তালিকা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও, প্রাথমিকভাবে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-২৫ জন ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রদল কর্মী হিসেবে পরিচিত, যাদের নামগুলোও তদন্তের সময় উঠে এসেছে। তদন্ত ও প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে যে আটজন শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাদের নামগুলো নিম্নরূপ:

অভিযুক্ত হত্যাকারীদের নাম:

শামিম হত্যায় জড়িতদের লিস্ট

১।আহসান লাবিব – বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ৪৯তম ব্যাচ

২. রাজু আহমেদ – সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, ৪৫তম ব্যাচ

৩. মাহমুদুল হাসান রায়হান – ইংরেজি বিভাগ, ৫০তম ব্যাচ

৪. জুবায়ের আহমেদ – ইতিহাস বিভাগ, ৪৪তম ব্যাচ

৫. হামিদুল্লাহ সালমান – ইংরেজি বিভাগ, ৪৯তম ব্যাচ

৬. মো. আতিকুজ্জামান – ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ, ৪৯তম ব্যাচ

৭. সোহাগ মিয়া – কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ৪৭তম ব্যাচ

৮.মোহাম্মদ রাজন মিয়া – সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, ৪৬তম ব্যাচ

৯. মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া’- ফার্মেসী বিভাগ, ৫২ ব্যাচে

১০। মোঃ সিয়াম( তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম), আই আর,৪৯ তম ব্যাচ, যার নাম উল্লেখ করা হয়নি মামলায়

সিয়ামের জড়িত থাকার দাবি
হত্যার দায় এড়ানোর নাটক তৈহিদ সিয়ামের!

অন্যান্য সন্দেহভাজন ও সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা

১।.সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া** – ৩৩তম ব্যাচ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক

২।রাজন হাসান (ছাত্রদল কর্মী)– সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, ৪৬তম ব্যাচ

৩। কৌশিক (ছাত্রদল কর্মী)** – সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ

৪।হামিদুল্লাহ সালমান  (ছাত্রদল কর্মী)– ইংরেজি বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ

৫। এম এন সোহাগ   (ছাত্রদল কর্মী)–

৬।হাবীবুন নবী

ছাত্রদল ইতিমধ্যে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করলেও,২০২৩ সালে প্রকাশিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সেলের  একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি  আমাদের হাতে এসেছে,যাতে পরিস্কার হয়  খুনিদের ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ততার কথা।

হাবীবুন নবী নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে, তবে তার বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। সংশোধীত তালিকায় ৪৪ ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের জুবায়ের আহমেদের পরিবর্তে ৫২ ব্যাচের ফার্মেসী বিভাগের মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া’কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই রিপোর্টে সবার নাম সংযুক্ত করা হচ্ছে,যেহেতু সবার নামে অভিযোগ আছে। 

শামীম হত্যাকান্ডে জড়িত ২০-২৫ জন সন্ত্রাসীর বিচার হবে কিনা জানা নেই,হত্যার দুদিন পর অজ্ঞাতনামা হত্যাকারীদের নামে মামলা করে জাবি প্রশাসন। এখন পর্যন্ত ২০-২৫ জন আসামীর মধ্যে তিনজন গ্রেপ্তার,বাকীরা বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা? 

সেই প্রশ্নের জবাব বোধহয়  আরিফ সোহেল  দিয়ে দিয়েছেন ,যিনি দুই হত্যাকারীর ঘনিষ্ঠ সহচর। 

১৯ সেপ্টেম্বর শামীম আহমেদ হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বলেন, “শামীম মোল্লাকে মারধর করে পুলিশে দেওয়া হলে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। মারধরের পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় শামীম মোল্লা কিছু মানুষের নাম বলেছেন। সেই নামগুলো কাদের ছিল; আরও কার কার নাম বলতে পারতো; কার কার নাম বলতে পারে নাই? তিনি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। তার সাথে জড়িত ক্যাম্পাসের কিছু নাম তিনি বলেছেন। তাকে মারলে কার লাভ হতো, কার ক্ষতি হতো; এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার অবকাশ আছে। “

আরিফ সোহেলের হত্যায় ভূমিকার অভিযোগ

আরিফ সোহেলের বক্তব্য,বিস্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভুমিকা, ইউনূস সরকারের নীরবতা বুঝিয়ে দিচ্ছে বিচারের নামে অন্যকিছু হচ্ছে,যেমনটা মব জাস্টিসের নামে আড়াল করা হচ্ছে জাবি ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া শামীমের এক্সট্রা জুড়িসিয়াল কিলিংসকে। ২৫-৩০ জন হত্যাকারীদের মধ্য থেকে ৮-৯ জন বহিস্কার করে, জাবি প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে বাকি খুনীদের রক্ষা করার চেষ্টায় আছে কিনা, তা সময়ই বলবে। বাকী খুনীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার আশা কি দুরাশা? 

শামীম হত্যা নিয়ে যে প্রশ্নগুলো কেউ করছেনা।

Share This Article
error: Content is protected !!