সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর গোপালগঞ্জবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে টানা কয়েকদিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে।১০ আগস্ট বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে গোপালগঞ্জ সদরের গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় সংবাদপত্র দৈনিক দুরন্তের ভাষ্যমতে সেনাবাহিনী একজন শিশুকে গুলি করে আহত করলে বিক্ষুদ্ধ জনতা সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন দেয় ১০ আগস্ট বিকেলে। গ্রামবাসীর সেনাবাহিনীর সাথে এই সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১০৬ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি ৩ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার সকালে ১০ বেঙ্গল রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বিষয়টি । সুত্রঃ প্রথম আলো
এই ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মৃত ব্যাক্তিকে মামলায় ঢুকিয়েছে সেনাবাহিনীর গাড়ি পোড়ানো মামলায়। মামলার ৮১ নম্বর আসামি অলিয়ার মেম্বার। গোপালগঞ্জ সদরে জালালাবাদ ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি অলিউর মোল্লা এবছরের এপ্রিলে মারা গেছেন। তাকে এই হত্যা মামলার আসামি করায় ইতোমধ্যে হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।মৃত মানুষকে হয়রানির রাজনীতি দেখে সাধারণ মানুষের উৎকণ্ঠা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।

পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগের সরকারের হত্যা মামলা যেভাবে তত্কালীন বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলো,এবারের ইউনূস সরকার ও এই পথে হাঁটছে গণহারে সবাইকে মামলা দিয়ে।গোপালগঞ্জে গাড়িতে আগুন ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় সেনাবাহিনীর মামলায়, মোট আসামি ৩৩০৬।